যুবকের অস্বাভাবিক মৃত্যু! পরকীয়ার জেরেই হত্যার অভিযোগ পরিবারের
ময়নাগুড়ি, ১৮ আগস্ট : বাপ্পা রায়:শুক্রবার এক যুবকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়ালো ময়নাগুড়িতে। স্ত্রী পরকীয়ায় লিপ্ত, স্বামীর সাথে রাতে বচসার জেরেই তাকে হত্যা করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ পরিবারের। এমনই চাঞ্চল্যকর ঘটনা ময়নাগুড়ি ব্লকের মাধবডাঙ্গা ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের বড়কামাত এলাকায়। মৃত যুবকের নাম রমেশ বর্মন (২৮) বছর । পুলিশ মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এদিকে ঘটনার পরেই মৃত রমেশের স্ত্রীকে আটক করেছে ময়নাগুড়ি থানার পুলিশ। জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাতে স্ত্রী পূর্ণিমা বর্মনের সাথে পরকীয়ার বিষয় নিয়ে বচসা বাঁধে। এরপর গভীর রাত আনুমানিক তিনটা নাগাদ নিজের ঘরেই তার ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান। পরিবারের অভিযোগ স্ত্রী পূর্ণিমা বর্মন তার বন্ধুদের ডেকে এনে মেরে তাকে ঝুলিয়ে দিয়েছেন। রাতেই তাকে উদ্ধার করে ময়নাগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে পুলিশ মৃত দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে শুক্রবার। ঘটনার পরেই মৃত যুবকের স্ত্রীকে আটক করেছে পুলিশ। এদিকে পরকীয়ার জেরে স্বামীকে হত্যার অভিযোগ থানায় জমা করবেন বলে জানিয়েছেন পরিবারের সদস্যরা। এই বিষয়ে মৃত যুবকের দাদা রণজিৎ রায় বলেন, “প্রেমের জন্য এই ঘটনা ঘটেছে। রাতে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে এই নিয়ে ঝগড়া হয়। ওর স্ত্রী একটা ছেলেকে ফোন করে বলে শুনেছি। এরপর অনেক রাতে চিৎকার চেঁচামেচি শুনে উঠে এসে দেখি ভাইয়ের ঝুলন্ত দেহ। আমাদের মনে হয় ওর স্ত্রী কিছু ছেলে নিয়ে এসে খুন করে ঝুলিয়ে দিয়েছে। Saty এই বিষয়ে থানায় অভিযোগ জানাবো।” পরিবার সূত্রে জানা যায়, মৃত রমেশ বর্মনের দুই সন্তান রয়েছে। একটি ছেলে ও একটি মেয়ে রয়েছে তাদের। একজনের বয়স চার বছর এবং অপরজনের ছয় বছর। এই অবস্থায় ছোট ছোট দুই সন্তানের দেখভাল কে করবেন বা তাদের ভবিষ্যত কি হবে সেটাই এখন দেখার।