মালদা জেলার দুই প্রান্তে দুটি পঞ্চায়েত সমিতি দখল করল জোট ও বিজেপি পরাজিত তৃণমূল

মালদা :রাহুল মন্ডল;আদালতের নির্দেশে অবশেষে,টানা টানা টানাপড়নের পর মালদার হবিবপুর পঞ্চায়েত সমিতির দখল নিলো বিজেপি। সভাপতি হওয়ার পরই সামনে কেঁদে ফেলেন সুখী রানী সাহা। তৃণমূল ও পুলিশের অত্যাচারে একমাস অতিষ্ট ঠিক হয়েছিলাম বাড়িতে থাকতে পারছিলাম না দাবি তার।পরাজিত তৃণমূল।পর্যাপ্ত পুলিশ ফোর্স নেই এই কারণ দেখিয়ে এই পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ড গঠন প্রক্রিয়া পিছিয়ে দেওয়া হয়।হবিবপুর পঞ্চায়েত সমিতিতে মোট ৩৩ টি আসন রয়েছে। এর মধ্যে বিজেপি জিতেছিল ১৭ টি আসনে। তৃণমূল কংগ্রেস তেরোটি আসনে , সিপিএম দুটি আসনে ও কংগ্রেস একটি আসনে জয়লাভ করে। জাল সার্টিফিকেট দিয়ে নির্বাচনের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে তৃণমূলের অভিযোগের ভিত্তিতে বিজেপির এক পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যের পথ খারিজ করে দেয় জেলা প্রশাসন। সে ক্ষেত্রে পঞ্চায়েত সদস্যের সংখ্যা হয়ে দাঁড়ায় ৩২। বিজেপি আগে থেকে অভিযোগ করছিল তৃণমূল কংগ্রেস মোটা টাকার বিনিময়ে ও পুলিশ প্রশাসনকে ব্যবহার করে তাদের সদস্যদের কেনার চেষ্টা করছে ও অবৈধভাবে পঞ্চায়েত সমিতি দখল করার চেষ্টা করছে।আজ সকাল থেকে টানটান উত্তেজনা ছিল একদিকে উত্তর মালদার বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মুর নেতৃত্বে বিজেপি বিজেপি র ১৬ জন সদস্য ও একজন কংগ্রেস সদস্য পঞ্চায়েত সমিতিতে প্রবেশ করে অন্যদিকে জেলা তৃণমূল সভাপতি আবদুর রহিম বক্সির নেতৃত্বে তৃণমূলের ১৩ জন সদস্য পঞ্চায়েত সমিতিতে প্রবেশ করে। সিপিএমের দুই সদস্য অনুপস্থিত ছিলেন।ভোটাভুটিতে জয়ী হয় বিজেপি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ও সহ-সভাপতি পদ দখল নেয় বিজেপি।এই হার হবে জামা ছিল দাবি তৃণমূলের। উত্তর মালদার বিজেপি সংসদ খগেন মুরমু বলেন, যেভাবে তৃণমূল নোংরামি করেছে তার যোগ্য জবাব তারা পেয়েছে।হবিবপুর ব্লকের বিডিও ও পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন উত্তর মালদার বিজেপি সাংগঠনিক জেলা সভাপতি উজ্জ্বল দত্ত। তিনি বলেন আদালত থেকে যে নির্দেশ দিয়েছে সেই কারণেই আজকে প্রশাসন বাধ্য হল বোর্ড গঠন করতে।এদিন ওরা নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *