চিকিৎসায় গাফিলতির জেরে এক সদ্যোজাতের মৃত্যুর এমনই অভিযোগ উঠল একটি বেসরকারি নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে
মালদা, ৯ সেপ্টেম্বর ,নিজস্ব সংবাদদাতা
মৃত সদ্যোজাত শিশুর পরিবারের লোকেরা ওই বেসরকারি নার্সিংহোমে ব্যাপক ভাঙচুর চালায় বলে অভিযোগ। পাশাপাশি চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলে চরম বিক্ষোভ দেখান মৃত শিশুর পরিবারের লোকেরা। শুক্রবার গভীর রাতে এই ঘটনাকে ঘিরেই চাচল শহরের ওই বেসরকারি নার্সিংহোম চত্বরেই চাঞ্চল্য ছড়ায়। নার্সিংহোম ভাঙচুর ও বিক্ষোভের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় চাচল থানার পুলিশ। পরে পুলিশি হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। একদিকে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগে শিশু মৃত্যু। অন্যদিকে নার্সিংহোমে ভাঙচুর। উভয়পক্ষ পুরো ঘটনাটি নিয়ে চাচল থানায় লিখিত অভিযোগ জানিয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, চাঁচল থানার খরবা গ্রাম পঞ্চায়েতের দুর্গাপুর গ্রামের বাসিন্দা সীমা পারভীন গত ৬ সেপ্টেম্বর বুধবার প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে চাঁচল শহরের একটি নার্সিংহোমে ভর্তি হন । ওই দিন রাতেই সিজার করে ওই গৃহবধূ একটি কন্যা সন্তানের জন্ম দেন। কিন্তু শুক্রবার সকাল থেকে আচমকায় সদ্যোজাতের জ্বর শুরু হয় । তার সঙ্গে চলে শ্বাসকষ্ট। এরপরই শুক্রবার গভীর রাতে ওই সদ্যোজাতের মৃত্যুর কথা জানানো হয় পরিবারের লোকেদের। আর তারপরেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন মৃত শিশুর পরিবার থেকে গ্রামবাসীরা। এরপরই চিকিৎসার গাফিলতির অভিযোগ তুলে ভাঙচুর করা হয় ওই নার্সিংহোমটি বলে অভিযোগ।
চাঁচলের ওই নার্সিংহোমের ম্যানেজার মহম্মদ হাবিব জানিয়েছেন, কন্যা শিশুটির জন্মের পর থেকেই শারীরিক অবস্থা ভালো ছিল না। তবে আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি ওই শিশুটিকে সুস্থ ভাবে বাঁচিয়ে রাখার। সব রকম চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া হয়েছে। শ্বাসকষ্ট জনিত কারণেই শিশুটিকে শেষ পর্যন্ত বাঁচানো যায় নি। এক্ষেত্রে চিকিৎসার কোন ত্রুটি ছিল না। কিন্তু হঠাৎ করেই ওই শিশুর পরিবারের লোকেরা নার্সিংহোম ভাঙচুর করে কর্মীদের হেনস্তা করে । এই ঘটনার ব্যাপারে প্রশাসনকে জানানো হয়েছে।