প্রকাশ্যে রাস্তাঘাটে মাংস কাটায় বাড়ছে দৃশ্য দূষণ, শিশুদের মনে পড়ছে প্রভাব

জয়দীপ মৈত্র,দক্ষিণ দিনাজপুর: দক্ষিণ দিনাজপুর জেলাজুড়ে যত্রতত্র প্রকাশ্যে মাংস কাটা চলছে যার জেরে বাড়ছে দৃশ্য দূষণ, সাথে সেই সব দৃশ্য দেখে শিশুদের মনে পড়ছে প্রভাব। জানা গিয়েছে, বিগত কয়েক বছর আগের দেশের সর্বোচ্চ আদালত একটি জনস্বার্থ মামলার পরিপ্রেক্ষিতে সুনির্দিষ্টভাবে নির্দেশ দিয়েছে যে কোনও মাংসের দোকান জনসমক্ষে কাটা মাংস ঝুলিয়ে রাখতে পারবে না এবং দোকানটিকে আচ্ছাদিত রাখতে হবে যাতে রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় মানুষ পশুর কাটা দেহ দেখতে না পান। তার জন্য রাস্তার ধারে যত্রতত্র মাংস কাটা বা জীবজন্তুর পাখির মাংস হোক না কেন সব কাঁচ দিয়ে ঢেকে বিক্রি করতে হবে। প্রতিটি পুরো বা পঞ্চায়েত এলাকার এ ব্যাপারে নির্দিষ্ট জায়গায় স্থির করার কথা যেখানে মাংস কাটা হবে এবং মাংস কাটার পরে বর্জ্য বস্তু বিষয়ে দূষণ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। এর সাথেই সুপ্রিম কোর্টের এই আদেশনামা একতা দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের তবে সব স্থানীয় প্রশাসনকে পাঠানো হয় কার্যকরী করার জন্য সাময়িকভাবে বিভিন্ন দোকানে কাজে লাগিয়ে কাটা মাংস আরো কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হয় বিভিন্ন জায়গায় কিন্তু ধারাবাহিকতার অভাবে তা এখন অনেকটাই স্তিমিত হয়ে পরেছে। যা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক তাছাড়া এবিষয়ে পদক্ষেপ করতে পারে পরিবেশ নিয়ে বা শিশুদের নিয়ে কাজ করে এমন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা গুলির ও কর্তব্য এ বিষয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করা এবং প্রশাসনকে সতর্ক করা জেলাজুড়ে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার সদর শহর বালুরঘাট মহকুমা শহর গঙ্গারামপুর, বুনিয়াদপুর, কুশমন্ডি হরিরামপু, তপন, কুমারগঞ্জ, হিলি সহ সমগ্র জেলা জুড়ে বিভিন্ন জায়গায় হাট, বাজার, রাস্তার ধারে প্রকাশ্যে মাংস কাটার দৃশ্য দূষণ এবং মানুষের মধ্যে নানা সমস্যা সৃষ্টি করছে বিভিন্ন জায়গায় মাংস কেটে যেভাবে দোকানে দোকানে ঝুলিয়ে রাখা হয় তা অত্যন্ত দৃশ্য দূষণ এর সৃষ্টি করে বিশেষ করে শিশুদের মনে হিংসা নামক মনো ভাবনার উদ্রেক ঘটায় কেবলমাত্র প্রকাশ্যে মাংস কাটা নয় বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে রাখা হয় কাটা পশুপাখির বস্তু যার ফলে জল দূষণ জনিত তৈরি হলো আমরা সেসব কে যথেষ্ট গুরুত্ব দিই না কিন্তু তার প্রভাব বিস্তার লাভ করে। এবিষয়ে জেলার কিছু পরিবেশবিদ ও মনোবিশেষজ্ঞরা জানান, প্রকাশ্যে এভাবে মাংস কাটা তে শিশু ও বড়দের মনে মানসিক চাপ সৃষ্টি করে যার ফলে তৈরি হয় হিংসা এই দৃশ্য দেখে অনেকে নানান অপরাধমূলক কাজে লিপ্ত হয় শিশুরা অসুস্থ হয়ে পড়ে তাই সেই কারণে প্রশাসনের অতিসত্বর পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *