গঙ্গা নদীর জলে প্লাবিত বেশ কয়েকটি গ্রাম, ভিটামাটি হারিয়ে হারিয়ে নদী বাঁধে ঠাঁই কয়েকশো পরিবারের।
রাহুল মণ্ডল,মানিকচক: গঙ্গা নদীর জলে প্লাবিত ভূতনি থানার বেশকিছু গ্রাম। ভাঙ্গন রোধের কাছ থেকে বাঁধ নির্মাণ, সমস্ততেই হয়েছে দুর্নীতি অভিযোগ তুলছেন দুর্গতরা। কয়েকশো পরিবার এখন সেচ দপ্তরের নতুন বাঁধের উপরে আশ্রয় নিয়েছেন। তাদের বাড়িঘর সর্বত্রই গঙ্গা ভাসিয়ে দিয়েছে। ব্লক প্রশাসনের তরফে থেকে ত্রাণ সামগ্রী দিলেও আরো পর্যাপ্ত পরিমাণের ত্রাণ সামগ্রীর দাবি তুলেছেন বন্যায় দুর্গত মানুষেরা।
বর্তমানে সরকারি সুবিধা ত্রাণের হাহাকার প্লাবিত এলাকার মানুষের মধ্যে। যদিও কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগ তোলার সাথে পর্যাপ্ত ত্রাণ পৌঁছানোর জন্য যাবতীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে দাবি তৃণমূল বিধায়িকার সাবিত্রী মিত্রের।
অন্যদিকে বিজেপি নেতৃত্ব তৃণমূলের দিকে আঙ্গুল তুলছেন।
মালদা জেলার মানিকচক ব্লকের অন্তর্গত ভূতনী থানার উত্তর চন্ডিপুর ও হীরানন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীন কেশরপুর কলোনি, বসন্তটোলা ও কালটোন টোলা গ্রাম এখন জলের তলায়। তিনটি গ্রামের প্রায় কয়েকশ পরিবার বাড়িঘড় ছেড়ে সেচ দপ্তরের নবনির্মিত বাঁধের উপরে আশ্রয় নিয়েছে। ইতিমধ্যে ব্লক প্রশাসনের তরফ থেকে সরকারি ত্রাণ একটি করে ত্রিপল, বেশ কিছু পরিবারকে বাসনপত্র ও সামান্য খাদ্য সামগ্রী দেওয়া হয়েছে। আর এই অবস্থায় আরো পর্যাপ্ত ত্রাণের জন্য তীব্র হাহাকার রয়েছে পরিবার গুলির মধ্যে। ত্রাণ শিবিরের পাশাপাশি পানীয় জল ও শৌচাগারে তৈরি করার দাবি রেখেছেন স্থানীয় মানুষজন। নদী বাঁধ বসবাস করতে পর্যাপ্ত সরকারি সুবিধা না পেয়ে চরম দুর্ভোগের মধ্যে পড়তে হচ্ছে বন্যা প্লাবিত পরিবারগুলিকে। দুর্গত মানুষদের অভিযোগ, নতুন যে বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে তা অত্যন্ত খারাপ কাজ করা হয়েছে। কেবলমাত্র বালি দিয়ে বাঁধ দার করানো হয়েছে। প্রবল বৃষ্টিপাতের কারণে ওই বাঁধগুলি একাধিক জায়গায় ফাটল ধরেছে। চুরির বাঁধ নির্মাণ করেছে।এই বাঁধ টিকবে না। কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের টানাটানিতে সাধারণ মানুষ আজ বিপন্ন।
মানুষের দুর্যোগে সরকারি সহযোগিতা নিয়ে তৃণমূল বিধায়ক সাবিত্রী মিত্রকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেছেন জেলা বিজেপি নেতা তথা আইনজীবী অভিজিৎ মিশ্র। সরকারি ত্রিপল তৃণমূল নেতারা আবার হাটে বিক্রি করে। কেন্দ্রীয় সরকারকে টাকার হিসেব দিবে না।কেন্দ্রের টাকায় তৃণমূলের নেতারা বিধায়করা নাচানাচি করবে আবার কেন্দ্রের কাছেই টাকার দাবি করবেন। আসলে রোহিঙ্গা বাংলাদেশীদের ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ পরার একটা সম্ভাবনা,যাদের বোলে বিধায়িকা হয়েছেন।
এ প্রসঙ্গে মানিকচক বিধানসভার তৃণমূল বিধায়িকা সাবিত্রী মিত্র বলেন, বেশ কিছু এলাকা ডুবেছে। মানিকচক ব্লকের নদী তীরবর্তী বেশ কিছু এলাকা আরো খারাপ পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছে। জেলাশাসক সহ আধিকারিকদের সাথে কথা হয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ত্রাণ পৌঁছে দেওয়ার যাবতীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার টাকা না দিলে এই নদী ভাঙ্গন রোধ করা সম্ভব হচ্ছে না। বিজেপির বেশ কিছু নেতা মানুষকে বিভ্রান্ত করছে কিন্তু কেন্দ্রের কাছ থেকে টাকা আনার কথা বলছে না।কেবলমাত্র রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় সাধারণ মানুষকে বঞ্চিত করছে এই কেন্দ্রীয় সরকার। আমাদের পরিযায়ী শ্রমিককে বাংলাদেশি বলে আক্রমণ করছে এই বিজেপি। ভিন রাজ্যে কাজে গিয়ে মানিকচকের অনেক মানুষ মার খেয়ে এসেছে। পুলিশ প্রশাসন নিয়ন্ত্রণে নাই, এই প্রধানমন্ত্রী কচুর পাতার জলে বসে আছে। দেশ চালাতে পারছেন না এই প্রধানমন্ত্রী তাই পদত্যাগ করা উচিত।
