জলের তোড়ে ভেসে গেলো ফালাকাটার পূর্ব দেওগাঁয়ের বামনিয়া নদীর বাঁশের সাঁকো, চরম দুর্ভোগে প্রায় ২৩ টি পরিবার।
ফালাকাটা: সোমবারের প্রবল বৃষ্টির জেরে জলের তোড়ে ভেসে যায় ফালাকাটা ব্লকের পূর্ব দেওগাঁয়ের বামনীয়া নদীর উপর বাঁশের সাঁকো।ফলে এলাকা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে নদীর পশ্চিমে থাকা প্রায় ২৩ টি পরিবার।পারাপারের একমাত্র ভরসা বাঁশের সাঁকোটি ভেসে যাওয়ায় স্থানীয় বাসিন্দা সহ স্কুল পড়ুয়াদের নদী পারাপারে ভীষণ সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে বলে অভিযোগ।স্থানীয়দের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে স্থায়ী পাকা সেতুর দাবি করে আসলেও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি ব্লক বা স্থানীয় প্রশাসন।ফলে নিজ উদ্যোগে বাঁশের সাঁকো তৈরি করে পারাপার করতে হচ্ছে তাঁদের।সোমবার প্রবল বৃষ্টির তোড়ে ভেসে যায় বাঁশের সাঁকোটি।পারাপারের একমাত্র ভরসা বাসের সাঁকো ভেসে যাওয়ায় গামছা পরে কোমর জল পেরিয়ে পারাপার করতে হচ্ছে বাসিন্দাদের।স্থানীয় বাসিন্দা মোহাম্মদ জাকির হোসেন বলেন,”এই মুহূর্তে কোনো ব্যক্তি অসুস্থ হলে হাসপাতালে নেওয়ার মতো পরিস্থিতি নেই।ব্লক প্রশাসনের কাছে দ্রুত স্থায়ী সেতুর দাবি জানান তিনি।”স্থানীয় বাসিন্দা মোহাম্মদ সিরাজউদ্দিন মিঞা বলেন,”এলাকার পড়ুয়াদের কাঁধে বা ঘাড়ে চাপিয়ে পারাপার করাতে হয়। পড়ুয়াদের কথা চিন্তা করে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করুক প্রশাসন।” ঘটনার খবর পেয়ে মঙ্গলবার এলাকা পরিদর্শনে যান দেওগাঁও গ্রাম পঞ্চায়েতের উপ প্রধান বিকাশ রায়।উপ প্রধান বিকাশ রায় বলেন,” এই মুহূর্তে গ্রাম পঞ্চায়েতের ফান্ডে কোনো অর্থ নেই।স্থানীয়দের সঙ্গে আলোচনা করে জরুরিকালীন একটি বাঁশের সেতু নির্মাণের কথা বলা হয়েছে।গ্রাম পঞ্চায়েতে ফান্ড পর্যাপ্ত আসলে সেই অর্থ মিটিয়ে দেওয়া হবে।” তবে সেই বিষয়টি মানতে নারাজ স্থানীয়রা।বুধবার গ্রাম পঞ্চায়েত কার্যালয়ে দাবি পূরণের জন্য যাবেন স্থানীয় বাসিন্দারা বলে খবর।