স্কুল শিক্ষকদের টিউশন পড়ানোর অভিযোগ, কড়া নির্দেশিকা জারি জেলা শিক্ষা পরিদর্শকের

নিজস্ব সংবাদদাতা,জলপাইগুড়ি: সার্ভিস রুল অনুযায়ী কোনো স্কুল শিক্ষক টিউশন বা গৃহশিক্ষকতা করাতে পারবেন না। চাকরিতে যোগদানের সময় এবিষয়ে মুচলেকা দেন শিক্ষকরা। কিন্তু তারপরেও একশ্রেণীর শিক্ষক বেআইনিভাবে টিউশনি ও গৃহশিক্ষকতা করছেন বলে অভিযোগ। বিশেষত জলপাইগুড়ি জেলায় বার বার এই অভিযোগ তুলেছেন গৃহশিক্ষক সহ অভিভাবকরা। স্কুলে শিক্ষকতার পাশাপাশি জেলার বিভিন্ন প্রান্তে বেআইনি ভাবে টিউশনি পড়ানোর অভিযোগ উঠে এসেছিল শিক্ষকদের বিরুদ্ধে। এই নিয়ে একাধিক গৃহ শিক্ষক সংগঠন একত্রিত হয়ে আন্দোলনে সামিল হয়। এবিষয়ে বিভিন্ন সময় স্কুল শিক্ষা দফতরের দৃষ্টি আকর্ষণ করার চেষ্টা করা হয়।আর সমস্ত কিছু দেখে গত ২২ শে আগষ্ট জলপাইগুড়ি জেলা স্কুল পরিদর্শক একটি নির্দেশিকা প্রতিটি স্কুলকে পাঠিয়েছেন। যেখানে উল্লেখ রয়েছে কোনো স্কুল শিক্ষক টিউশনি করালে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আর এই খবর জানতে পেরেই খুশি বিভিন্ন গৃহশিক্ষক সংগঠন সহ অভিভাবকদের একাংশ। এই বিষয়ে জলপাইগুড়ি জেলা সর্বভারতীয় বৃহত্তম শিক্ষক কল্যাণ সমিতির কার্যকরী সভাপতি শতদ্রু রায় বলেন,” মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশ রয়েছে স্কুল শিক্ষকরা টিউশন করাতে পারবেন না। এমনকি স্কুল শিক্ষা দফতরের তরফেও এই নির্দেশিকা জারি রয়েছে, তারপরেও এই ঘটনা বার বার সামনে আসছে। এর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত বলে আমার মনে হয়।”
গৃহশিক্ষক সুব্রত প্রামানিক বলেন,” সরকারি নির্দেশ না মেনে একশ্রেণীর শিক্ষক গৃহশিক্ষকতা করছেন। আমরা এর আগে বিভিন্ন জায়গায় অভিযোগ জানিয়েছি কিন্তু তারপরও তারা গৃহশিক্ষকতা করছেন। এবার জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক নির্দেশিকা জারি করেছেন। কিন্তু সেই নির্দেশিকা সেই সমস্ত শিক্ষকরা মানেন কিনা সেটাই এখন দেখার বিষয়।” এই বিষয়ে জেলা স্কুল পরিদর্শক (মাধ্যমিক) বালিকা গোলে জানান,” উপযুক্ত তথ্য প্রমাণ সহ যদি এই ধরনের অভিযোগ থাকে তাহলে আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করব।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *