নিজের হাতে চা বানিয়ে স্বনির্ভর হতে চায় রামসাই গ্রাম পঞ্চায়েতের এলাকার মহিলারা
ময়নাগুড়ি,২ডিসেম্বরঃ নিজের হাতে চা বানিয়ে স্বনির্ভর হতে চায় রামসাই গ্রাম পঞ্চায়েতের এলাকার মহিলারা,বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে অর্থ,তাই স্বপ্নকে বাস্তব করতে চাইছে সরকারি সাহায্য। টাকার অভাবে বর্তমানে কোন আধুনিক যন্ত্রাংশ না কিনলেও মনের জোরে করাইতেই রোস্ট করছে কাঁচা পাতা,সে কাঁচাপাতা রোস্ট করতে গিয়ে অনেক সময় হাতেও যাচ্ছে পুড়ে, কিন্তু মনোবল শক্ত করে কয়েক বছর ধরে এভাবেই চা বানিয়ে আসছেন রামসাই কাউয়াগাব গ্রামের কয়েকজন মহিলা।
তাদের কারখানা বলতে টিনের চালের নিচে কখনো মাটির উনুনে কখনো গ্যাসের উনুনের আচে, পিরিতে বসে নিখুঁতভাবে তৈরি করছে গ্রিন টি ব্ল্যাক টি ও হোয়াইট টি,তিন ধরনের চা, যা খেতে খুবই সুস্বাদু এবং স্বাস্থ্যকর।
জানা যায় বছর কয়েক আগে মহিলারা চা বাগানের সুবিধার্থে জামতলা FPO নামে একটি গ্রুপ বানায় পরবর্তীতে হাতে চা পাতা বানাবে বলে সিদ্ধান্ত নেয় ,সেই মোতাবেক সলিডারিডেড নামে একটি সংস্থার সাথে তাদের পরিচয় এবং যোগাযোগ হয় এরপর সেই সংস্থার তত্বাবধানে তাদের বাড়িতে এসে প্রায় তিন বছর ধরে ট্রেনিং করায় ,এর পরেই রামসাই গ্রামের দীপ্তি রায় ,জ্যোতিকা রায়, পুতুলি রায়,সারবালা , লতা রায় রা পাতা বানাতে শুরু করে , কিন্তু চা পাতা বানিয়ে কোন বাজার না পেয়ে অনেক চা পাতা তারা ফেলে দিয়েছেন , এবং অনেকে কাজও বাদ দিয়েছেন যদিও বর্তমানে বিক্রি একটু বেড়েছে বলে বলে জানিয়েছেন F PO র সদস্যরা,তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায় , একদমই জৈব প্রকৃতিতে এই চা পাতা বানায় , রামসাই এলাকা হল চা বাগান অধ্যুষিত এলাকা এখানে প্রায় প্রত্যেক বাড়িতেই চা বাগান রয়েছে, তাই প্রত্যেক মেম্বার বাড়ির অল্প একটু করে চা বাগান রেখে দিয়েছেন নিজের হাতে চা পাতা বানানোর জন্য, এমনকি তারা যে পাতা বানান সেই পাতায় কোন রাসায়নিক কীটনাশক ব্যবহার করেন না , ট্রেনিং করার সময়ে তাদের একটা জৈব কীটনাশক বানানোর ট্রেনিং নিয়েছিলেন সেই মতো করে তারা বিভিন্ন পাতা দিয়ে সেই জৈব কীটনাশক বানিয়ে বাগানে স্প্রে করেন বলে জানিয়েছেন,
তবে চাপাতা বানানো সম্পূর্ণভাবে শিখলেও এখনো বাজারের সেই বিক্রি করার বাজার পায়নি,যদিও এই সমস্যার কথা শুনে কিছুদিন আগেই চা পাতা বাজারজাত করতে এগিয়ে আশার আশ্বাস দিয়েছেন ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়া স্মল টি অ্যাসোসিয়েশন।তাদের উদ্যোগে জলপাইগুড়ি জেলা ক্ষুদ্র চা চাষি সমিতি তিস্তা ব্যান্ডের মাধ্যমে মার্কেটিংয়ে , মহিলাদের সহযোগিতা করতে এগিয়ে আসবেন বলে জানিয়েছেন..
সরকারের কাছে তারা চা বানানোর প্রক্রিয়াজাত মেশিন ও উপযুক্ত বাজার পেতে যাতে সবাই সহযোগিতা করতে এগিয়ে আসে, সে আশায় করছেন জামতলা এফটিও গ্রুপের মহিলারা।
এই বিষয়ে জামতলা এফপিওর সদস্যা দীপ্তি রায় কি জানিয়েছেন শোনাবো আপনাদের
