ক্ষুর কাঁচি জমা করে পাকাপাকিভাবে কাজ বন্ধের সিদ্ধান্ত ময়নাগুড়ির ক্ষৌরকারদের
ময়নাগুড়ি, ১৯ মে:
লকডাউনের জেরে দীর্ঘদিন বন্ধ সেলুন দোকান। করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে কাজ বন্ধ রেখেছে ক্ষৌরকাররা কিন্তু তাতে চলবে কি করে তাদের যে দৈনিক রুজিরুটির একমাত্র ভরসা ক্ষৌরকর্ম। করোনা আবহে মারাত্মকভাবে কোপ পড়েছে তাদের কর্মের রোচনামচায়। ফলে কর্মহীন হয়ে পড়েছে বহু দিন আনা দিন গোনা সেলুন ব্যাবসায়ী। সরকারি বিধিনিষেধ কে মেনে করোনা জয়ের যুদ্ধে সামিল হলেও ব্রাত্য থেকেছেন দ্ররিদ্র ক্ষৌরকাররা। ইতিমধ্যেই লকডাইন পেড়িয়েছে প্রায় মাসদুয়েক। সরকারিভাবে কাজে লকডাউনে ছাড় মেলেনি তেমনভাবে। যদিও বা রাজ্যের তরফে চতুর্থ দফার লকডাউনে সেলুন খোলার ইঙ্গিত দিয়েছেন রাজ্য সরকার। কিন্তু নিরাপত্তার বিধিনিষেধে বিষবাও জলে ক্ষৌরকারদের ক্ষৌরকর্ম। কারন গ্রামের দরিদ্র ক্ষৌরকাররা কোথায় পাবে সেই প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম নিরাপত্তার। যে কাজে সংস্পর্শে আসতে হয় মানুষের সেখানে কোথায় মিলবে নিজেদের নিরাপত্তা! ভেবেই আকুলান সেলুনব্যাবসায়ীরা। ইতিপূর্বে তাদের দুর্দশার কথা মুখ্যমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীকে জানানো হলেও আজও সদুত্তর মেলেনি। একদিকে লকডাউনে অন্যান্য অনেক ক্ষেত্রেই সরকারি সহযোগিতা মিললেও আদৌউ সরকারের নজর পড়েনি পরিবার নিয়ে চরম অনটনে পড়া ক্ষৌরকারদের ওপর। সরকারি মহলে জানানোই সাড় ভ্রুক্ষেপ করেনি প্রসাশনিক শীর্ষ কর্তারাও। তাই এক প্রকার হতাশ ও নিরুপায় হয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য কাজ বন্ধের সিদ্ধান্ত নিলেন ময়নাগুড়ি ব্লকের সমস্ত ক্ষৌরকাররা। মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় কমিটি ও ব্লক কমিটির সদস্যরা ময়নাগুড়ি বিডিও অফিস ও থানায় স্মারকলিপি দেন। সাথে কাজ বন্ধ করে বিডিওর হাতে তুলে দেওয়া হয় সেলুনের প্রয়োজনীয় সরঞ্জামগুলি। এদিন বেশ কিছু দাবি তুলে ধরেন কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যরা। সেই দাবি গুলি পূরন না হওয়া অবধি কোন প্রকার ক্ষৌরকর্ম করবেন না বলে সাফ জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় কমিটির উপদেষ্টা গৌরাঙ্গ শর্মা ও সহ সভাপতি হরেকৃষ্ণ শর্মা।