আমফানের দাপট দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা জুড়ে, ক্ষয়ক্ষতি ব্যাপক

পল মৈত্র,দক্ষিণ দিনাজপুরঃ বুধবার রাত থেকে বিধ্বংসী আমফান ঝড়ের তান্ডবে লন্ডভন্ড দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা। তবে এখানে ঝড়ের মাত্রা কম হওয়াতে কিছুটা স্বস্তি পেয়েছেন জেলাবাসী। কিন্তু এর মাঝেও ক্ষতি হয়েছে চাষাবাদের ফসল, ক্ষতি হয়েছে টিনের বাড়ি চালার বাড়ি ও অন্যান্য জিনিসের সবথেকে বেশি ক্ষতি হয়েছে রাজ্যের কলকাতা সহ বেশ কয়েকটি জেলা পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। গতকাল রাত থেকে এখন পর্যন্ত নেই বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুর ও অন্যান্য জায়গাতেও প্রচন্ড ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে সূত্রের খবর।অনেক জায়গাতে মাটির বাড়ি দালান ভেঙ্গে পড়েছে অনেক গরীব মানুষের বাড়ির চালান উড়ে গিয়েছে পাশাপাশি জমির চাষাবাদের ফসলের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে সূত্রের খবর। করোনা ভাইরাস দমনে সারা দেশব্যাপী সহ পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে চলছে লকডাউন।গত কয়েকদিন আগে সরকারি নির্দেশিকা জারি হওয়ার পর দক্ষিণ দিনাজপুর জেলাকে গ্রীন জোন হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।সারা দেশ জুড়ে যখন করোনার মহামারী চলছে তখন পশ্চিমবঙ্গ তথা রাজ্য জুড়ে গতকাল থেকে নতুনভাবে সংযোজিত হলো আরও একটি বিপদ আমফান।শক্তিশালী ঝড়ের দাপটে কয়েকটি জেলা পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি সকলকে সচেতন ও নিরাপদ ভাবে থাকার কথা বলেছেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির রাজ্য বাসীর পাশে দাঁড়িয়ে থেকে লড়াই করে চলেছেন। শক্তিশালী ঘূর্ণি ঝড় আমফানের দাপটটে বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গ পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় ঝড়ের রেশ কিছুটা কম হলেও কিন্তু ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বিস্তর। তবে প্রাণহানির খবর এখনো পর্যন্ত পাওয়া যায়নি ক্ষতি হয়েছে চাষাবাদ জমির ফসল ক্ষতি হয়েছে গরিব মানুষের ক্ষতি হয়েছে বাড়ির চালান উড়ে গিয়েছে রাস্তা শহর-গ্রামের অনেক দোকানপাট কিন্তু ভেঙ্গে পড়ে গিয়েছে। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুর এলাকার বাসিন্দারা ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করছেন এই প্রকৃতির প্রলয় বন্ধ করার জন্য তবে সেটি কবে বন্ধ হবে এই উত্তর জানা নেই কারোর কারণ প্রকৃতি কারো কথা শোনে না তবে ধ্বংসলীলা থেকে বাঁচবার জন্য সকলেই এখন গৃহবন্দী। আজ সকাল থেকে গঙ্গারামপুর দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা জুড়ে এমনই চিত্র দেখা গেলো সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরায় তা ধরা পড়লো। সকলেই বাড়িতে বৃষ্টির মধ্যে সময় পার করছেন। এখন কত তাড়াতাড়ি এই নিম্নচাপ বন্ধ হবে সেই উত্তর জানা নেই কারোর। বলাই বাহুল্য এই সব কিছুর মাঝেও দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুর কিছু বাসিন্দারা বাড়িতে বসে গরম খিচুড়ি সহযোগে কব্জি ডুবিয়ে খাচ্ছেন। বিভিন্ন এলাকায় ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বিস্তর চাষাবাদের জমি মাটির দেয়াল ভেঙে পড়েছে যার জন্য চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে এইসব অসহায় মানুষদের। তবে এখনো পর্যন্ত প্রাণহানির খবর পাওয়া যায়নি জেলা প্রশাসন তৎপর ছিলেন জানা গেছে পুরোপুরি ভাবে সব কিছু জানাতে প্রথমেই ঝড় বন্ধ হওয়া প্রয়োজন তারপরে সঠিক তথ্য তুলে ধরা যাবে তবে এখনো পর্যন্ত ঝড়ের দাপট কিছুটা রয়েছে সাথে গভীর নিম্নচাপ ঝড় বৃষ্টি শুরু হওয়ার সাথে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা অঝোরে ভিজছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *