করোনা ভাইরাস থেকে বাঁচতে ডুয়ার্সের চা-বাগানে বাঁশের ব্যারিকেড বাসিন্দাদের
সুমন কুন্ডু, বানারহাট: ছোঁয়াচে করোনা ভাইরাস থেকে বাঁচতে তেলিপাড়া চা বাগান, হলদিবাড়ি চা বাগান সহ ডুয়ার্সের প্রায় বেশ কিছু চা বাগান এলাকার বাগান লাইনগুলিতে দেওয়া হয়েছে বাঁশের ব্যারিকেড। তেলিপাড়া চা বাগানের গোলাই লাইন এলাকার জনৈক ব্যাক্তি হলদিবাড়ি চা বাগানে গেলে তাকে ঐ বাগানে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। আর তাতেই ক্ষোভে দেখা যায় ঐ এলাকায়। তেলিপাড়া চা বাগানের গোলাই লাইন, বাসা লাইন, লম্বা লাইন, মোনু লাইন সহ একাধিক জায়গায় বাঁশের ব্যারিকেড দিয়ে অন্য এলাকার মানুষের প্রবেশে একরকম নিষেধাজ্ঞা জারি রাখা হয়েছে। তেলিপাড়া গোলাই লাইন এলাকায় গিয়ে দেখা গেল ঐ লাইনে বসবাসকারী বাসিন্দারা অন্য এলাকার মানুষের প্রবেশ আটকাতে বাঁশের ব্যারিকেড দিয়েছে। তেলিপাড়া চা বাগানের গোলাই লাইনের বাসিন্দা সোনু শাহ জানালেন, যেদিন অন্য এলাকার বাগান গুলিতে ঢুকতে দেওয়া হবে সেদিন আমরাও এই ব্যারিকেড খুলে ফেলব। অবশ্য করোনা নিয়েও যথারীতি চিন্তিত তিনিও। উল্লেখ্য যে, নাগরাকাটার হীলা চা বাগান ও ধূপগুড়ির ডায়না চা বাগান থেকে তিনজন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। সেই ভয় থেকে বাঁশের ব্যারিকেড দেওয়া হয়েছে বলে স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন। তবে লকডাউন প্রায় শিথিল হওয়ার সুযোগে কর্মসুত্রে এক বাগান থেকে আর এক বাগান যাবার প্রয়োজন পড়ে ফেরী ব্যাবসায়ীদের। সেই সুযোগটাও বর্তমানে বন্ধ হয়ে আছে বাঁশের ব্যারিকেড দেওয়ার কারণে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট এলাকার গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য এলিনা মুন্ডাকে এই বিষয়ে জিজ্ঞেস করা হলে, তিনি বলেন, মাদার্স ক্লাবের সদস্যদের সহযোগিতায় প্রায় প্রত্যেক লাইনে নজরদারি জারি রাখা হয়েছে। সকাল থেকে সন্ধ্যা সাতটার পরে বাগানে প্রবেশে নিষেধ কঠোর ভাবে পালন করা হবে।