দুর্বিসহ জীবন থেকে মুক্তি পেতে পাকা রাস্তা চান গ্রামবাসীরা
রামপ্রসাদ মোদক, রাজগঞ্জ ২৮ মেঃ গ্রীষ্মের মরশুমে ধুলাবালি ও বর্ষাকালে জলকাদায় নাজেহাল হতে হয় বাসিন্দাদের। এমন অবস্থায় অভ্যস্ত হয়ে পড়েছেন কয়েকটি গ্রামের মানুষ। রাজগঞ্জ ব্লকের বিন্নাগুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের গুয়াবাড়ি, গধেয়াগছ, ভান্ডারিগছ ও সুরুবাড়ি গ্রামের রাস্তাগুলি কাঁচা। গ্রীষ্মে ধুলাবালি তাও মানিয়ে নিয়ে চলছেন কিন্তু বর্ষার জল কাদা গ্রামবাসীদের জীবন দুর্বিষহ করে তুলেছে। এবার প্রাক বর্ষাতেই রাস্তার মাঝে মাঝে বিশাল আকার কাঁদায় এলাকার মানুষজনের জীবনযাত্রা দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে।স্থানীয় বাসিন্দাদেরঅভিযোগ, এলাকার জন প্রতিনিধিদের একাধিকবার বলেও কোন লাভ হয়নি।
স্থানীয় বাসিন্দা আব্বাস মহম্মদ বলেন, গত ২০১৭ সালে তৎকালীন সাংসদ বিজয়চন্দ্র বর্মন বন্ধুনগর এলাকার ঈদগাহ থেকে গুয়াবাড়ি গ্রাম পর্যন্ত একটি চার কিলোমিটার পাকা রাস্তা করার কথা ঘোষণা করেছিলেন।পরবর্তীতে জেলা পরিষদের তত্ত্বাবধানে সাংসদ তহবিলের অর্থে পাকা রাস্তার কাজ শুরু হয়।কিন্তু অজ্ঞাত কারণে মাত্র আড়াই কিলোমিটার রাস্তা তৈরি করার পর বন্ধ হয়ে যায় কাজ। এলাকার বাসিন্দারা প্রশ্ন তুলেছেন কেন মাঝ পথে এমন ভাবে কাজ বন্ধ করা হলো।
বিষয়টি নিয়ে জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের কো-মেন্টর অহিদার রহমানকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, সাংসদ তহবিল থেকে মাত্র ২ কিলোমিটার ৩০০ মিটার রাস্তা পাকা করার জন্য অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছিল ।সেই অনুযায়ী ওই কাজ করা হয়েছে।তবে সাড়ে ৮ কিলোমিটার কাঁচা রাস্তা পাকা করার জন্য কৃষিজ বিপণন দপ্তরের প্রয়োজনীয় নথি জমা দেওয়া হয়েছে বলে জানান ওহিদার বাবু।তিনি আশা করেন শীঘ্রই রাস্তাগুলি পাকা হবে।