লকডাউনে নেই কাজ ,নেই রেশনকার্ড, অসহায় বৃদ্ধার সাহায্যের আর্জি দু’মুঠো ভাতের
বিদ্যুৎ কান্তি বর্মন, সিঙ্গিজানি,২জুন:
নুন আনতে পান্তা ফুরায় অবস্থা, কোনরকম দিন চলত বৃদ্ধা সরবালা বর্মনের। কিন্তু দেশজুড়ে লকডাউনের জেরে এখন দুমুঠো অন্ন জোটানই কপালে চিন্তার ভাঁজ হয়ে দাঁড়িয়েছে ওই বৃদ্ধার।নেই রেশন কার্ড ,নেই কাজ আর এই দুর্দিনে নেই কোন সরকারি সংস্থা বা কোন রাজনৈতিক দল পাশে নেই তাই সাহায্যের আর্জি জানিয়েছেন। মাথাভাঙ্গা ২ নং ব্লকের বড়শৌলমারী গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত মুকুলডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা সরবালা বর্মন(৭৬)।ভিটে মাটি ছাড়া আর কিছুই নেই বৃদ্ধার।টিনের চাল দিয়ে তৈরি দুটি ছোট ছোট ঘর।প্রায় ১০বছর আগেই বৃদ্ধার স্বামী মারা গিয়েছে। বৃদ্ধার দুই ছেলে তারাও বউ বাচ্চা নিয়ে পৃথক খায়।লোকের বাড়ি কাজ করে পেটের খাবার জোগাড় করতেন তিনি।কিন্তু লকডাউনের কারণে সেই কাজও বন্ধ হয়ে গিয়েছে।রেশন কার্ড না থাকায় লক ডাউনে দুমুঠো খাবার জুটে না, এমন করেই কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন অসহায় বৃদ্ধা । কোন রাজনৈতিক দল বা কোনো স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এই দুর্দিনে বৃদ্ধার পাশে নেই।তাই সাহায্যর আর্জি জানিয়েছেন ।
বৃদ্ধা সরবালা বর্মণ বলেন,মানুষের বাড়িতে কাজ করে দুমুঠো খেয়ে যা দেয় তাই দিয়ে পেটের অন্ন জোগাড় করতাম।কিন্তু লক ডাউনের কারণে সেই পথও এখন বন্ধ। রেশন কার্ড না থাকায় পাইনি কোনো সরকারি খাদ্য সামগ্রী। কাজের অভাবে দুই ছেলে বর্তমানে অসহায় অনাহারে বাড়িতে বসে । তারা যা খেতে দেয় তাই খেয়ে দিন কাটছে বর্তমানে ।কেউ যদি সহযোগিতা করে তাহলে কয়েকদিন চলবে। না হলে একবেলা খেয়েই দিনকাটাতে হবে বলে আক্ষেপ করেন।
এই বিষয়ে বড় শৌলমারী গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান মহাদেব বিশ্বাস জানা বিডিও অফিসের নির্দেশে প্রত্যেক গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যদের তাদের এলাকার রেশন কার্ড না থাকা ব্যক্তিদের নাম পাঠানোর কথা বলা হয়েছিল। ইতিমধ্যে আমরা সেই নামের লিস্টও পাঠিয়ে দিয়েছি বিডিও অফিসে। তবে এই বিষয়টি আমার জানা ছিল না ওই এলাকার পঞ্চায়েত সদস্য কোহিনুর বিবি এই সম্পর্কে কিছু জানাননি। আমি সবরকম ব্যবস্থার চেষ্টা করব। বর্তমানে ডিলারের সাথে কথা বলে কিছু খাদ্য সামগ্রী দেওয়া যায় কিনা তার ব্যবস্থা করব।