বাড়ি ফেরার দাবিতে বিক্ষোভ রাজারহাটে
নিজস্ব সংবাদদাতা, কোচবিহার : কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে কারো অতিক্রম হয়েছে ১৮-১৯ দিন, আবার কারো ২০-২২ দিন।করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ পরীক্ষার জন্য নেওয়া হয়েছে লালা রসের নমুনা। কিন্তু মেলেনি রিপোর্ট। তাই ১৪ দিন অনেক আগেই অতিক্রম হওয়ার পরেও না মেলার দরুণ কোয়ারেন্টাইন সেন্টার থেকে ছাড়ার উদ্যোগ নিচ্ছে না স্বাস্থ্য দপ্তর কিংবা জেলা প্রশাসন। এমনই অভিযোগে এদিন উত্তপ্ত হয়ে ওঠে কোচবিহার-২ ব্লকের রাজারহাট এলাকার একটি ইনস্টিটিউশনাল কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে। আবাসিকরা বাইরে বেরিয়ে এসে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। কোনো কোনো আবাসিক সেখান থেকে পালিয়েও গেছেন বলে জানা গেছে। আবাসিকদের অভিযোগ স্বাস্থ্য দপ্তরের নির্দেশিকা অনুযায়ী সেখানে তাদের ১৪ দিনের কথা বলে রাখা হলেও অনেকেরই ২০-২২ দিন হয়ে গেছে। লালারসের নমুনাও নেওয়া হয়েছে। কিন্তু এখনো পর্যন্ত রিপোর্ট না মেলায় তাদের ছাড়া হচ্ছে না। এছাড়াও সেখানে পর্যাপ্ত খাবার মিলছে না। যা খাবার দেওয়া হচ্ছে সেটাও খুবই নিম্নমানের। শৌচাগার সাফাই করা সহ কোনোকিছুই ঠিকমতো স্যানিটাইজ করা হচ্ছে না। ফলে অস্বাস্থ্যকর এরকম পরিবেশে অনেক সুস্থ মানুষও অসুস্থ হয়ে পড়ছেন বলে অভিযোগ তোলেন তাঁরা। এদিন সকালে ঘটনার খবর পেয়ে পুণ্ডিবাড়ি থানার পুলিশ ও কোচবিহার-২ ব্লকের বিডিও টি পি ভুটিয়া ঘটনাস্থলে পৌঁছান। পরে সেখান থেকে শতাধিক আবাসিককে ছেড়ে দেওয়া হয়। রিপোর্ট না পেয়ে তাদের এভাবে ছেড়ে দেওয়ার জন্য বাকিরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, অনেকে অনেক জায়গা থেকে এসেছে। কার শরীরে কি আছে তা কে জানে ? তাঁদের এভাবে ছেড়ে দেওয়া একদম ঠিক হয়নি। যাদের লালার নমুনা নেওয়া হয়েছে অবিলম্বে তাদের রিপোর্টের ভিত্তিতে ছেড়ে দেওয়ার দাবি তোলেন তাঁরা।
যদিও এবিষয়ে সংশ্লিষ্ট ব্লকের বিডিও জানান স্বাস্থ্য দপ্তরের পরামর্শে তাঁদের অনেককে আজ এমনিতেই ছেড়ে দেওয়া হত। অযথা তাঁরা এরকম পরিস্থিতি তৈরি করছে। এদিন শতাধিক আবাসিককে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তবে তাঁরা বাড়িতে ফিরে হোম কোয়ারান্টিনে থাকবেন।