দুঃখিনী নানাইয়ের চরে এক দুঃখী পরিবারে সাহায্যের হাত বাড়ানোর আকুতি

ধূপগুড়ি: ধূপগুড়ির দক্ষিণ খট্টিমারীর গারখুটা এলাকায় নীরবে বয়ে গেছে নানাই নদী, এই নানাই নদীকে অনেকে 'দুঃখিনী নানাই' বললেও, এই নদীর চরে মনিরাম রায় নামে আর এক দুঃখীর পরিবারের বসবাস। একসময় জমজমাট ছিল তাদের সুখ দুঃখের সংসার । সুন্দর স্বপ্ন! তিন কন্যা! কিন্তু বেশ কয়েক বৎসর আগে মনিরাম রায় স্ট্রোক করে বিকলাঙ্গ হয়ে শয্যাশায়ী হয়ে যান । বাধ্য হয়ে সংসারের হাল ধরতে হয় তার স্ত্রী লক্ষী রায়কে। সামান্য কিছু জমিজমা, নদী, জঙ্গলের উপর নির্ভর করে তিনি অতি কষ্টে সংসার চালাতেন । কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের ও আকস্মিক বজ্রপাতের মতো সংসারে দ্বিতীয়বার বিপর্যয় নেমে আসে । লকডাউনের প্রথম দিকে লক্ষী দেবীও স্ট্রোক করে বিকলাঙ্গ হয়ে যান । তাদের তিন মেয়ে । এক মেয়ের বিয়ে হলেও দুই মেয়ে কিশোরী ! কিন্তু কিসের শৈশব ? সংসারের হাল তো ধরতে হবে । তাই একরাশ কষ্ট, একরাশ যন্ত্রনা এবং একরাশ হতাশা নিয়ে টালমাটাল করে এখন তাদের সংসার চলছে । অভিযোগ, একসময় সবাই আসত ।খবর নিত । এখন আর কেউ আসে না, খোঁজ খবর নেয় না । দুর্বিষহ জীবন যন্ত্রনায় ছটফট করছে নানাই নদীর তীরে অবস্থিত এই চারটি জীবন ।শুধুমাত্র একটি আবদার যে বাঁচতে চাই ,সবার মাঝে, সবার সাথে । শুক্রবার তাদের হাতে ৬ হাজার টাকার মতো নগদ আর্থিক সাহায্য তুলে দিল ধুপগুড়ির পঞ্চানন স্মারক সমিতি এবং উত্তরাস্রোত পত্রিকা গোষ্ঠী। ধূপগুড়ি পঞ্চানন স্মারক সমিতির সদস্য রতন রায় বলেন, "আমরা আমাদের সাধ্যমত ঐ পরিবারের হাতে আর্থিক সাহায্য তুলে দিয়েছি এবং তাদের চিকিৎসার জন্য প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।"

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *