একশো দিনের কাজকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ,ভাঙচুর বাড়ি , আহত ৭

সৌমিত্র বর্মন, ফুলবাড়ি, ১৪ জুন : মাথাভাঙা ২ নং ব্লকের ফুলবাড়ি অঞ্চলে একশো দিনের কাজকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ বাধে দুই বিরোধী গোষ্ঠীর মধ্যে। সংঘর্ষে আহত হয়েছেন মোট সাতজন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন ঘোকসাডাঙ্গা থানার পুলিশ। এই ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় ওই এলাকায়।

জানা যায়, দীর্ঘ তিনমাস লকডাউনের পর ফুলবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের ৫ নম্বর সংসদের ৪ ও ৫ নং বুথে একশো দিনের প্রকল্পের অধীনে পুকুর কাটার কাজ শুরু হয় শনিবার। সেই মতো রবিবারও ৫ নম্বর বুথে পুকুর কাটার কাজ হচ্ছিল। কিন্তু এদিন সেই কাজকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ বাঁধে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে। ভাঙচুর হয় ২ টি বাইক সহ ৫ টি বাড়ি। সংঘর্ষে আহত হন মোট সাতজন। এই বিষয়ে ৫ নম্বর বুথের বিজেপির বুথ সভাপতি সুরেশ মল্লিক অভিযোগ করেন সব মানুষকে কাজ দেওয়া হচ্ছে না। সেই বিষয়ে জানতে চাইলে তৃণমূল কংগ্রেসের হার্মাদ বাহিনীরা লাঠি, পাথর, ছুঁড়ি নিয়ে আমাদের ওপর চড়াও হন এবং মারধর করেন। তিনি আরো অভিযোগ করেন এক মহিলা সহ ৩ শ্রমিককে মারধর করেন তৃণমূল কংগ্রেসের গুন্ডাবাহিনীরা। অন্যদিকে সংশ্লিষ্ট বুথের পঞ্চায়েত সদস্য বৃন্দাবন সরকার বলেন ,এই অভিযোগ ভিত্তিহীন। আমরা সবাইকে কাজ দিচ্ছি। আমার বুথে তিনটি পুকুর খননের কাজ এসেছে। ৪ ও ৫ নং বুথে ২২৬ জন বেনিফিসিয়ারি কাজ করছে। তার মধ্যে ৪ নং বুথে ১৪১ জন বেনিফিসিয়ারিরি এবং ৫ নং বুথে ৮৫ জন বেনিফিসিয়ারী কাজ করছে। মোট ৩৪০ জন বেনিফিসিয়ারি আছে তার মধ্যে ২২৬ জন কাজ পেয়েছে এবং যারা বাকি থাকবেন তারা প্রত্যেকেই দলমত নির্বিশেষে ১৪ দিন পর কাজ পাবেন। তিনি অভিযোগ করেন , বিজেপির গুন্ডা বাহিনীর প্রথম থেকেই কাজ বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দিচ্ছে। তারা লাঠি,পাথর নিয়ে আমাদের ওপর আক্রমণ করে। দুইজন বেনিফিসিয়ারির মাথা ফাটিয়ে দেন, ২ টি মোটর বাইক সহ ৫ টি বাড়ি ভাঙচুর করে বিজেপির গুন্ডা বাহিনীরা। তিনি আরো বলেন ,হারাধন মণ্ডল নামে এক বেনিফিসিয়ারির মাথায় আঘাত করে বিজেপির লোকজন ,গুরুতর অবস্থায় তাকে ফালাকাটা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে কোচবিহার মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় বলে জানা যায়। এই ঘটনায় তিনি ঘোকসাডাঙ্গা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন বলে জানা যায়। ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় ওই এলাকায়।পরিস্থিতি শান্ত করতে ঘটনাস্থলে যান ঘোকসাডাঙ্গা থানার পুলিশ।পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *