আপার প্রাইমারী শিক্ষক নিয়োগের দাবীতে স্মারকলিপি মন্ত্রী বিনয় কৃষ্ণ বর্মনকে
বিদ্যুৎ কান্তি বর্মন ও পরিমল বর্মন, ঘোকসাডাঙ্গা,২৮ জুন: দীর্ঘ প্রায় সাত বছর কেটে গেলেও বিভিন্ন মামলার জটে আটকে আছে আপার প্রাইমারী নিয়োগ প্রক্রিয়া। দ্রুত মামলা নিষ্পত্তি করে নিয়োগের দাবিতে আপার প্রাইমারী চাকরী প্রার্থী মঞ্চ সংগঠনের চাকরী প্রার্থীরা রবিবার অনগ্রসর শ্রেণী কল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী বিনয় কৃষ্ণ বর্মনকে স্মারকলিপি প্রদান করল সংগঠনের মাথাভাঙ্গা মহকুমা শাখার পক্ষ থেকে। জানা গিয়েছে, ২০১৪ সালে ফর্ম ফিলাপ হয় আপার প্রাইমারী পরীক্ষার এবং পরীক্ষা হয় ২০১৫ সালে। ২০১৬ সালে ফল প্রকাশ পায় এবং ২০১৮ সালে ইন্টারভিউ ও ডকুমেন্টস ভেরিফিকেশন হয়। এরপর ২০১৯ সালে অক্টোবরে ফাইনালি প্যানেল লিস্ট বের হয়। কিন্তু ইতিমধ্যে আপার প্রাইমারী বিষয়ে বিভিন্ন মামলা দায়ের হয় হাইকোর্টে। মামলার জটাজালে আবদ্ধ হয়ে বন্ধ হয় নিয়োগ প্রক্রিয়া। এখনো সেই মামলার প্রক্রিয়া চলছে। এ বিষয়ে দ্রুত নিয়োগের দাবিতে আপার প্রাইমারী চাকরী প্রার্থী মঞ্চ এর আগে বেশ কয়েকবার আন্দলনের পথ বেছে নিয়েছিলেন। কিন্তু কোর্টে মামলা নিষ্পত্তি না হওয়ায় নিয়োগ পত্র হাতে পায় নি চাকরী প্রার্থীরা বলে জানা যায়। তাই দ্রুত মামলা নিষ্পত্তি করে নিয়োগ পত্র দেওয়ার দাবিতে সারা রাজ্য জুড়ে বিভিন্ন দায়ীত্বে থাকা মন্ত্রীদের স্মারকলিপি প্রদান করছে সংগঠনের পক্ষ থেকে। যাতে তাদের দাবি মুখ্যমন্ত্রী পর্যন্ত পৌঁছতে পারে। সেই মত রবিবার অনগ্রসর শ্রেণী কল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী বিনয় কৃষ্ণ বর্মনের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করল সংগঠনের মাথাভাঙ্গা মহকুমা শাখা। এ বিষয়ে আপার প্রাইমারী চাকরী প্রার্থী মঞ্চের পক্ষ থেকে রাজীব কুমার বর্মন, সুধাংশু বর্মন,সোহরাব হোসেন, আব্দুর রহিম প্রমুখরা বলেন, আমরা প্রায় দীর্ঘ সাত বছর ধরে চাকরীর প্রত্যাশায় দিন গুনছি কিন্তু কোনো সুরাহা হচ্ছে না। তাই যাতে দ্রুত মামলা নিষ্পত্তি করে আমাদের নিয়োগ করা হয় সেই দাবি জানিয়ে মন্ত্রী বিনয় কৃষ্ণ বর্মনকে স্মারকলিপি প্রদান করলাম যাতে উনি বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রী পর্যন্ত পৌঁছায়। যদি দ্রুত নিয়োগ প্রক্রিয়া চালু না হয় আমরা জুলাই মাসে বৃহত্তর আন্দলনের পথ বেছে নেব। এ বিষয়ে মন্ত্রী বিনয় কৃষ্ণ বর্মন বলেন, সরকার তো নিয়োগ করতে চায় কিন্তু এত মামলা দায়ের হলে কিভাবে নিয়োগ হবে। স্মারকলিপি পেলাম আমি বিষয়টি শিক্ষা দফতরে পাঠাবো। তবে সরকার সর্বদা তৎপর যত দ্রুত সম্ভব সরকারী ভাবে চেষ্টা চলছে।