মাথাভাঙ্গা ২ ব্লকে বন্ধ ঘিরে বিভিন্ন জায়গায় মিছিল পাল্টা মিছিল, ভাঙল দোকান

পরিমল বর্মন/ বিদ্যুৎ কান্তি বর্মন, ঘোকসাডাঙ্গা,১৪ জুলাই:- রাজ গঞ্জের বিজেপি বিধায়ক দেবেন্দ্রনাথ রায়ের রহস্য জনক মৃত্যু হয় সোমবার। দেবেন্দ্র নাথ রায়কে খুন করা হয়েছে এমন টাই অভিযোগ বিজেপির অবিলম্বে তদন্ত করে দোষীদের শাস্তির দাবিতে সারা উত্তরবঙ্গ জুরে ১২ ঘণ্টার বন্ধ ডাকেন বিজেপি মঙ্গলবার। বন্ধ সফল করতে সোমবার ব্লকের বিভিন্ন জায়গায় মিছিল করে বিজেপি এমন কি মঙ্গল বার বিভিন্ন এলাকায় বন্ধ সফল করতে মিছিল করে বিজেপি অন্যদিকে বন্ধ এর রাজনীতি চায় না শাসক দল এবং বন্ধের বিরুদ্ধে মিছিল করেন তারা । তবে ব্যবসায়ী মহলের অনেকেই দোকান পাট বন্ধ রাখলেও কোথাও কোথাও কিছু দোকান খুলে থাকতেও দেখা যায়। বাজার এলাকা গুলিতে প্রায় পুরোপুরি দোকান বন্ধ থাকে। তবে বিভিন্ন জায়গায় দিন ভর টান টান উত্তেজনা থাকলেও পুলিশী তৎপরতায় কোথাও তেমন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। এই দিন সকাল প্রায় ১১ টা নাগাদ উনিশ বিশা গ্রাম পঞ্চায়েতের জয়ন্তীর হাট বাজার এলাকায় ছেড়ামারী গ্রামের পঞ্চায়েত সদস্যা মাম্পি নমদাস দত্তের বাজারে থাকা দুটি দোকান খোলা থাকলে ভাঙচুর চালায় বিজেপি কর্মী সমর্থকগন বলে অভিযোগ । এমন কি সেইদোকানে উপস্থিত পঞ্চায়েত সদস্যা মাম্পি নমদাস দত্তকে মার ধোর করা হয় বলে তৃণমূল সূত্রে জানা যায়। খবর পাওয়ার পর জয়ন্তীর হাট এলাকায় ছুটে আসেন এসডিপিও শুভেন্দু মণ্ডল, ঘোকসাডাঙ্গা থানার ওসি দেবাশীষ রায় সহ বিশাল পুলিশ বাহিনী। এরপর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। অন্যদিকে পারডুবি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় বিজেপি বন্ধের সমর্থনে মিছিল বের করেন পাশাপাশি শাসক দলের পক্ষ থেকেও মিছিল বের করা হলে এক টান টান উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। কিন্তু সেখানে ওসি সহ পুলিশ বাহিনী উপস্থিত থাকায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। অন্যদিকে বড় শৌলমারী গ্রাম পঞ্চায়েতে সিঙ্গিজানি গ্রামে গ্রাম পঞ্চায়েত কার্যালয়ে বন্ধ সফল করতে বিজেপির ঝান্ডা লাগানো হয় এবং সকাল থেকে বিজেপি কর্মী সমর্থকরা মিছিল করেন। ঝান্ডা লাগানো থাকলে গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান অফিসে এসে দীর্ঘক্ষণ বাইরেই দাঁড়িয়ে থাকে। পাশাপাশি তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে বিশাল মিছিল বের হয় বন্ধ না মানার জন্য। ফলে এক রাজনৈতিক উত্তেজনা সৃষ্টি হয় । পুলিশি তৎপরতায় গ্রাম পঞ্চায়েত কার্যালয়ে লাগানো বিজেপির ঝান্ডা গুলি সরিয়ে নেয় বন্ধ সমর্থন কারী বিজেপি কর্মীরা এবং দুপুর প্রায় ১২.৪৫ টায় গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান মহাদেব বিশ্বাস অফিসে প্রবেশ করেন। তবে বিশাল পুলিশ বাহিনী মজুত থাকায় কোনো রকম অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। তবে এলাকার দোকান পাট প্রায় সব বন্ধ ছিল। সব মিলিয়ে কোথাও মিশ্র আবার কোথাও সম্পুর্ন বন্ধ হয়েছে ব্লক জুড়ে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *