গ্রাম বলেই আজও স্যানিটাইজ করা হয়নি করোনা আক্রান্ত পাড়ায় – অভিযোগ প্রতিবেশীদের

রাহুল দেব বর্মন,বুড়িরহাট –

গত ২৭ জুলাই সোমবার কোভিদ রিপোর্ট পজেটিভ আসে দিনহাটা ২ নং ব্লকের বুড়িরহাট ১ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের এক পুলিশ কর্মীর।

এরপর তার চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয় কোচবিহার মিশন হাসপাতালে।
গত পরশু রাতে সেই পুলিশ কর্মীর বাবার করোনা সংক্রমণ নিয়েই মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে তবে এ বিষয়ে কোচবিহার জেলা প্রশাসন সূত্রে কোনো পজেটিভ রিপোর্ট পাওয়া যায়নি।

এমনকি বর্তমানে সেই পুলিশ কর্মীর মা তিনিও কোভিদ পজেটিভ হয়ে কোচবিহার মিশন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

কিন্তু প্রতিবেশীদের অভিযোগ করোনা আক্রান্ত হবার ৫দিন কেটে গেলেও আজ পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত পরিবারের বাড়ি কিংবা পার্শ্ববর্তী এলাকাকে স্যানিটাইজ করা হয় নি।
এরফলে পুরো এলাকার সাধারণ মানুষ আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন।

এমনকি পাড়া-প্রতিবেশীরা বলছেন গ্রাম বলেই কি অবহেলিত এবং আজও করোনা আক্রান্ত এলাকা স্যানিটাইজ করা হয় নি।
যেখানে শহরের কোন ওয়ার্ডের পরিবার যদি করোনা আক্রান্ত হয় তবে তৎক্ষণাৎ পুরো এলাকাটি কন্টেনমেনট জোন ঘোষণা করে প্রশাসন অর্থাৎ পৌরসভা প্রশাসন পুরো এলাকা টিকে
স্যানিটাইজ করে।

কিন্তু করোনা আক্রান্ত হবার ৫দিন কেটে গেলেও আজ পর্যন্ত পুরো এলাকা, গ্রাম বলেই আজও স্যানিটাইজ করা হয়নি করোনা আক্রান্ত পাড়ায় অভিযোগ প্রতিবেশীদের।

যদিও এই বিষয়ে বুড়িরহাট ১নং গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান নিরঞ্জন বর্মন জানিয়েছেন আমরা আমাদের গ্রামীণ সম্পদ কর্মী দারা যতটুকু সম্ভব হয়েছে আক্রান্ত পরিবারের বাড়ি সংলগ্ন জায়গা স্যানিটাইজ করেছি।
এরপরেও যদি পুরো এলাকা
স্যানিটাইজ করতে হয়,তবে ব্লক প্রশাসন কে উদ্যোগ নিতে হবে। আমি এ বিষয়ে বিডিও সাহেব কে অবগত করবো এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব স্যানিটাইজ করার ব্যাবস্থা করবো।

এই বিষয়ে দিনহাটা 2 নং ব্লকের সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক জয়ন্ত দত্ত কে ফোন করা হলে তিনি জানান ইতিমধ্যে করোনা আক্রান্ত পরিবারের বাড়ি সংলগ্ন জায়গা স্যানিটাইজ করা হয়েছে এর থেকে বেশী কিছু হবে না।
আমাদের এতটুকুই গাইডলাইন আছে।

ছবি: প্রতীকি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *