আগাছায় ভরে থাকা ধূপগুড়ি কমিউনিটি হলের বেহাল দশা, সংস্কারের দাবি

সুব্রত রায়, ধূপগুড়ি: রাজ্যের বৃহত্তর ব্লকগুলির অন্যতম একটি হল ধূপগুড়ি। আর ধূপগুড়ি ব্লকে রাজবংশী, রাভা, আদিবাসী সহ বিভিন্ন সম্প্রদায়ের বিভিন্ন ভাষাভাষী মানুষের বসবাস।ব্লকের বিভিন্ন সরকারি, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয় ধূপগুড়ি কমিউনিটি হলে। সেই ধূপগুড়ি ব্লকের একমাত্র কমিউনিটি হলটির বর্তমানে বেহাল দশা। হলঘরের চতুর্দিক আগাছায় ভরে গেছে। লকডাউনের কারণে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় সেই হলঘরটির অবস্থা আরও। এর আগে একবার হলঘরটির পাটাতন ভেঙ্গে পড়েছিল। এমনকি হলঘড়ের ভিতর থেকে বিষাক্ত সাপ উদ্ধার করাও হয়েছিল বলে জানা গেছে। খুব দ্রুত কমিউনিটি হলটির সারাইয়ের ব্যবস্থা করা না হলে হলঘড়টি পরিত্যক্ত হয়ে যাবে। জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের অধীনে থাকা কমিউনিটি হলটির সারাইয়ের দাবি করেছেন সংস্কৃতিপ্রেমী থেকে ধূপগুড়ির শিক্ষানুরাগী ব্যাক্তিগণ। সিপিএমের এরিয়া কমিটির সম্পাদক মুকুলেশ রায় সরকার জানান, “দীর্ঘ লড়াইয়ের পর ধূপগুড়িতে সংস্কৃতি চর্চার জন্য বাম আমলে কমিউনিটি হল স্থাপন করা হয়েছিল। কিন্তু বর্তমানে তৃণমূল কংগ্রেসের ক্ষমতায় থাকা জেলা পরিষদ ও ধূপগুড়ি পৌরসভার উদাসীনতায় নষ্ট হতে চলেছে কমিউনিটি হল। সরকারের কাছে দাবি অবিলম্বে কমিউনিটি হলটির সংস্কার করা হোক। যাতে আবারো ধূপগুড়িবাসী এখানে সংস্কৃতি বিষয়ক অনুষ্ঠান করতে পারে।” এপ্রসঙ্গে জেলা পরিষদের সদস্যা মমতা সরকার বৈদ্য জানান, “নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই কমিউনিটি হল ও ডাকবাংলোর কথা তুলে ধরেছি। রেজ্যুলেশনে বিষয়টি নোট করা হয়েছে। ফান্ডের ব্যবস্থা হলেই কমিউনিটি হলটির সারাইয়ের ব্যবস্থা করা হবে। আশা করছি খুব দ্রুত সারাইয়ের ব্যবস্থা করে নতুন করে কমিউনিটি হলে অনুষ্ঠানাদি করা যাবে।” জেলা পরিষদের সভাধিপতি উত্তরা বর্মন জানান, লকডাউনের কারনে বেশ কিছু কাজ আটকে গেছে। কমিউনিটি হলটির বিষয়টি রেজুলেশনে পাশ হয়েছে। কিছুদিনের মধ্যেই কাজ শুরু হবে।” উল্লেখ্য ২০১২ সালে ধূপগুড়ি কমিউনিটি হলের উদ্ধোধন হয়েছিল। এরপর থেকে বহু সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক অনুষ্ঠানের সাক্ষী এই হল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *