কৃষকের খেতিবাড়িত আলি আলি তৃণমূলের কৃষক আন্দোলন, বামফ্রন্টের দেখে দেওয়া ঘাটা নাহয় তো!
ডেস্ক রিপোর্ট: কৃষকের খেতিবাড়িত আলি আলি তৃণমূলের কৃষক আন্দোলন, বামফ্রন্টের দেখে দেওয়া ঘাটা বুলি দাবি বাম মনোভাবাপন্ন মানষিলার।
বামফ্রন্টের দেখে দেওয়া ঘাটা ধরি তৃণমূল কংগ্রেস সরকার কেন্দ্র সরকারের বিরুদ্ধে চিরাচরিত আর্থিক বঞ্চনা আর জনবিরোধী নীতির বিরুদ্ধে চালাছে প্রচার। দক্ষিণ পন্থী দলের বামপন্থী কায়দায় প্রচার কতটা কেন্দ্র সরকার অক চাপে ফেলের পারে এলা এইটায় দেখার বুলি মনে করেছে রাজনৈতিক মহল। তবে রাজনৈতিক মহলের ধারণা, আসলে ভারতের একটা অংশত বাঙালি বিরোধী মানসিকতা প্রবল, আর যেই কারণে বাম আমল থাকি আর্থিক ভাবে বাংলাক বঞ্চিত করি থয় কেন্দ্র সরকার। অইন্য পাখে কেন্দ্রের জনবিরোধী নীতির বিরুদ্ধে তৃণমূলের অবস্থান কিন্তু একেবারে বামপন্থী কায়দা। সাধারণত বাম দলগুলা বরাবর শ্রমিক স্বার্থক বেশি গুরুত্ব দেয়। উদারীকরণ আর বেসরকারিকরণের বিরুদ্ধে ব্যাপক গন আন্দোলন গড়ি তুলছে বামফ্রন্ট। রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাক বেসরকারি হাত’ত তুলি দেওয়ার বিরুদ্ধে বামফ্রন্ট বিরোধিতা করিসে। কিন্তু বামপন্থী নীতি আদর্শ বিরোধী তৃণমূল কংগ্রেসের বেসরকারিকরণ, আর্থিক বঞ্চনা আর জনবিরোধী নীতির বিরুদ্ধে আন্দোলন কিন্তু ফম করি দেছে বামফ্রন্টের আন্দোলনের কথা।
কংগ্রেস সেলা কেন্দ্র সরকার অত। পশ্চিমবঙ্গ রাইজ্যত বামফ্রন্টের শাসন। জ্যোতি বসু মুখ্যমন্ত্রী। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে রাইজ্য বারবার অভিযোগ তুলে আর্থিক বঞ্চনার, অভিযোগ তুলে রাইজ্যের বাদে বরাদ্দ করা অর্থ কম দেছে কেন্দ্র। তার উপুরা শ্রমিক বিরোধী নানান জনবিরোধী নীতির অভিযোগ। কেন্দ্রত ক্ষমতার বদল ঘটে আইসে দেবগৌড়ার নেতৃত্বে জনতা দল সরকার। তারপর অটল বিহারী বাজপেয়ীর নেতৃত্বে এনডিএ জোট সরকার। কেন্দ্রত সরকার বদল হৈলেও রাইজ্য সরকারের অভিযোগ কিন্তু একে থাকি যায়। জ্যোতি বসুর মৃত্যুর পর বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য মুখ্যমন্ত্রী। ইউপিএ সরকার সেলা ক্ষমতাত। বামফ্রন্টের সমর্থনে গঠিত হয় ইউপিএ সরকার। কেন্দ্র সরকার যেলা আমেরিকার সাথে পরমাণু চুক্তি করির যায়, সেই সময়ে ইউপিএ জোট সরকারের উপর থাকি সমর্থন তুলি নেয় বামফ্রন্ট। তারপর বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের রাইজ্য সরকার কিন্তু কেন্দ্রের জনবিরোধী নীতির বিরুদ্ধে সুর চড়া করে।
সিপিআইএম সোদে বাম দলগুলা আদর্শগত ভাবে কেন্দ্রের উদারবাদী নীতির বিপরীতে অবস্থান গ্রহণ করিসে, সেই একে জাগাত খাড়া হয়া তৃণমূল কংগ্রেসও কিন্তু বিজেপি সরকারের উদারবাদী নীতির বিরুদ্ধে একে অবস্থান নিসে। রেল, ব্যাঙ্ক সোদে জরুরি পরিষেবা দেওয়া সংস্থা গুলাক যেনঙ বেসরকারি হাত’ত তুলি দেওয়ার চেষ্টা চালাছে কেন্দ্র সরকার, তেনঙ অইন্য পাখে কৃষকলার স্বার্থে কিন্তু সেইভাবে কোন ব্যবস্থা নেয় নাই কেন্দ্র সরকার, অভিযোগ তৃণমূলের। সিপিএমের মতোয় কৃষক বিরোধী সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন চালাছে তৃণমূল কংগ্রেসও। সিপিএমের কায়দায় কৃষকের খেতিবাড়ির আলিত দাঁড়ে ঝান্ডা হাত’ত নিয়া তৃণমূলের এই আন্দোলন ফম করি দেছে সিপিএমের সোনালি যুগের কাথা মন্তব্য করিল ধূপগুড়ির গাদংয়ের কৃষক রঘুনাথ রায়। এই আন্দোলনের লক্ষ্য কি হবার পারে এই নিয়া বেশ কয় মতন কথা হাওয়াত ভাসেছে, যেমন- তৃণমূলের লক্ষ্য বামফ্রন্টের কিছু নেতাক তৃণমূলের পক্ষে নিয়া আইসা, কৃষকের স্বার্থে সেই অর্থে উল্লেখযোগ্য ভাবনা এতদিন যা ছিল না তার প্রতি মোড় ঘুড়ি নেওয়া আর বিজেপির বিরুদ্ধে কৃষক সংগঠন জোরদার করা। কৃষক সংগঠন বামফ্রন্টের অন্যতম শক্তি ছিল, সেই ভাবনা থাকি কৃষকের স্বার্থে তৃণমূলের এই মেঠো আন্দোলন বুলি মনে করেছে রাজনৈতিক মহল।
অইন্য পাখে উদারীকরণ আর বেসরকারিকরণের বিরুদ্ধে সিপিএম সোদে বাম দলগুলা তৎকালীন কেন্দ্র সরকারের বিরুদ্ধে গণ আন্দোলন গড়ি তুলছে, লোকসভা আর রাইজ্য সভাত বেসরকারিকরণের বিরোধিতা করিসে। বেশকিছু লাভজনক রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাক বেসরকারি হাত’ত তুলি দেওয়ার বিরোধিতা করে বামফ্রন্ট। মুক্ত বাজার নীতির বিরুদ্ধে গলা চড়াইসে বাম দলগিলা। তবে তৃণমূল বেসরকারিকরণের বিরোধিতা করিলেও মুক্ত বাজার নীতি বা উদারীকরণের কঠোর বিরোধিতা করে নাই এলাও। সেইভাবে গণ আন্দোলন তৈরিও হয় নাই। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বাম মনোভাবাপন্ন ব্যক্তি জানাইল, বিজেপি আমেরিকার মত উদারীকরণ আর বেসরকারিকরণের পক্ষপাতী, কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেস আসলে কি চায় বুঝা যাছে না। রাইজ্য থাকি শিল্প বেপাত্তা তৃণমূল আমলে, কৃষক ফসলের দাম পায় না, কর্ম সংস্থান তৈরি করির পারে নাই, চাকরিত নিয়োগে দুর্নীতি, প্রায় প্রতিটা গ্রাম পঞ্চাইত এলাকাত দুর্নীতি, এই সবকিছুই কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেস অক ব্যাকফুটে ফেলে দিবে। বামফ্রন্টের দেখে দেওয়া ঘাটা ধরার পরিবর্তে তৃণমূলের আমূল সংস্কার আর পরিবর্তন দরকার মন্তব্য ঐ ব্যক্তির।