লকডাউনের পর আবারও ভিণ রাজ্যে পাড়ি জমাচ্ছেন পরিযায়ী শ্রমিকেরা

সৌমিত্র বর্মন, ফুলবাড়ী: করোনা ভাইরাসের প্রকোপে দেশে লকডাউন চালু হওয়ায় ভিণ রাজ্যে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল কাজকর্ম। কাজকর্ম বন্ধ হওয়ায় খাদ্য সমস্যায় পড়েছিল অধিকাংশ পরিযায়ী শ্রমিক। ফলে কর্মহীন পরিযায়ী শ্রমিকেরা ভিণ রাজ্য ছেড়ে বাধ্য হয়ে ফিরে আসে বাড়িতে। সেই শ্রমিকেরা ফের আবার যাত্রা শুরু করল ভিণ রাজ্যের পথে। লকডাউনে বাড়িতে এসেও নেই কাজ। কাজের অভাবে রোজগার নেই। তাই রুটি রুজির টানে আবার অভিগমনে বাধ্য হলো শ্রমিকেরা।

কাজ নেই, খাবার নেই, পকেটে নিঃশেষ টাকা। বাধ্য হয়ে বাড়িতে ফিরে আসতছ হয়েছিল ভিণ রাজ্যে আটকে থাকা শ্রমিকদের। করোনা পরিস্থিতিতে লকডাউনের জেরে বিপাকে পড়েছিলেন ভিণ রাজ্যে কাজ করতে যাওয়া এ রাজ্যের বহু শ্রমিককে। করোনার কারনে হারিয়ে ছিলেন কাজ, ছিল না খাবার, যেটুকু টাকা সম্বল ছিল সেই টাকা দিয়ে আর কতদিনই বা চলত! বাধ্য হয়েই বাড়িতে ফিরে আসেন পরিযায়ী শ্রমিকরা। কেউ বা পায়ে হেঁটে, কেউবা সাইকেলে করে, নানান রকম প্রতিকূলতাকে হার মানিয়ে ঘরে ফিরেছিলেন তারা।ভেবেছিলেন বাড়িতে ফিরে এসে সুস্থ জীবন যাপন করবেন, করোনা কালে এখানে কিছু না কিছু কাজ তো জুটবে বলে ভেবেছিলেন তারা। কিন্তু এখানেও নেই কাজ।

শনিবার ফের কাজের জন্য ভিণ রাজ্যে পাড়ি দিলেন মাথাভাঙ্গা ২ নং ব্লকের ফুলবাড়ী অঞ্চলের বেশ কিছু শ্রমিক। করোনা পরিস্থিতিতে লকডাউনের জেরে কাজ হারিয়ে বাড়িতে ফিরে এসেছিলেন মাথাভাঙ্গা ২ নং ব্লকের ফুলবাড়ি অঞ্চলের কয়েকশো পরিযায়ী শ্রমিক।কেউ বা সাইকেলে করে, কেউ বা পায়ে হেঁটে, নানা সমস্যার মোকাবিলা করে বাড়িতে এসেছিলেন তারা।শনিবার ফের কাজের জন্য তামিলনাড়ুর উদ্দেশ্যে পাড়ি দিলেন ফুলবাড়ি অঞ্চলের ক্ষেতি এলাকার ১০ জন শ্রমিক।

জানা যায়, তামিলনাড়ু থেকে শ্রমিকদের নিয়ে যাওয়ার জন্য ক্ষেতি এলাকায় একটি বাস আসে। সেই বাসে করেই ফুলবাড়ী অঞ্চলের ১০ জন শ্রমিক সহ শালবাড়ি ,ময়নাগুড়ি, ধুপগুড়ি সহ বিভিন্ন এলাকার মোট ৫৪ জন শ্রমিক কাজের জন্য তামিলনাড়ুর উদ্দেশ্যে পাড়ি দেন। ক্ষেতি এলাকার সমীর বর্মন, অমিত বর্মন, মিঠুন বর্মনরা জানান, লকডাউনের জেরে কাজ হারিয়ে তারা বাড়িতে ফিরে এসেছিলেন, কিন্তু এখানেও কোনো কাজের সুযোগ নেই, দীর্ঘ কয়েক মাস ধরে বাড়িতে বসে আছেন। ফলে পরিবারে দেখা দিয়েছে চরম সংকট। পরিবারের হাল ফেরাতেই ফের ভিন রাজ্যে কাজের জন্য পাড়ি দিলেন তারা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *