বিজেপির ডেপুটেশন ঘিরে ধুন্ধুমার ধূপগুড়িতে
সুব্রত রায় • ধূপগুড়ি
বিজেপির ডেপুটেশনকে ঘিরে বৃহস্পতিবার ধুন্ধুমার অবস্থা হলো ধূপগুড়ি ব্লকের ঝাড়আলতা ২ গ্রাম পঞ্চায়েত অফিস চত্বরে। মাথা ফাটল পুলিশের। আহত হয়েছেন ধূপগুড়ি থানার কমপক্ষে পাঁচ জন পুলিশ কর্মী। এরমধ্যে ধূপগুড়ি থানার এএসআই সরোজ প্রধানের আঘাত গুরুতর হওয়ায় তাকে শিলিগুড়ির একটি বেসরকারি নার্সিহোমে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেইসাথে দুই দলের কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি এতটাই উত্তেজক ছিল যে একটি টোটো সহ বেশ কয়েকটি বাইক ভাঙচুর হয়েছে।
জানা গেছে এদিন দুপুরে বিজেপি কর্মী সমর্থকরা বিরাট মিছিল নিয়ে গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে স্মারকলিপি প্রদান করতে আসেন। অপরদিকে গ্রাম পঞ্চায়েত অফিস চত্বরে প্রচুর পরিমাণে তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী-সমর্থকরাও জড়ো হয়েছিলেন। এদিকে কোনরকম ঝামেলা মোকাবিলার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে পুলিশ অফিস চত্বরে ছিল না। বিজেপির মহিলা কর্মী শিউলি রায় ক্ষোভের সাথে জানান, “আমাদের শারীরিক ভাবে নিগ্ৰহ করে তৃণমূল নেতাকর্মীরা। তবু পুলিশ আমাদের সাহায্য করেনি।” বিজেপি নেতা আগুন রায় জানান,” আমরা শান্তিপূর্ণভাবে মিছিল নিয়ে গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে স্মারকলিপি দিতে গিয়েছিলাম। কিন্তু তৃণমূল নেতা-কর্মী-সমর্থকেরা আচমকা আমাদের উপর হামলা চালায়।” যদিও তৃণমূল নেতারা তাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ নাকচ করে দিয়েছেন। তৃণমূল যুব কংগ্রেসের ধূপগুড়ি গ্ৰামীণ ব্লক সভাপতি মলয় রায় জানান, ” মিথ্যা অভিযোগ নিয়ে স্মারকলিপি দিতে এসেছিলেন বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। এবং তাদের কর্মীদের দ্বারাই আহত হয়েছেন পুলিশ সহ আমাদের কর্মীরা।”
এদিকে এই ঘটনার পরপরই ধূপগুড়ি ও বানারহাট থানার বিরাট পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছায় । রীতিমতো RAF, কমব্যাট ফোর্স নিয়ে জলপাইগুড়ির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ( গ্রামীণ ) ডেনড্রুপ শেরপা ও ডিএসপি (ক্রাইম) বিক্রমজিৎ লামা, বানারহাট থানার আইসি সমীর দেওসার নেতৃত্বে বিরাট পুলিশ বাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। এমনকি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ।
উল্লেখ্য এদিন জলপাইগুড়ি জেলা জুড়ে বিজেপির পক্ষ থেকে গ্ৰাম পঞ্চায়েত অফিসগুলোতে স্মারকলিপি প্রদান ছিল।