কলেজে ভর্তি হয়েও দিতে পারবেনা বিএডের সেমিস্টারের পরীক্ষা, বিক্ষোভ প্রশিক্ষণার্থীদের
নিজস্ব সংবাদদাতা, কোচবিহার: কলেজে ভর্তি হয়েও বিএড এর সেমিস্টারের পরীক্ষা দিতে তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা। বিএড কলেজের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুললো প্রশিক্ষণার্থীরা। ঘটনাটি ঘটেছে কোচবিহার-২ ব্লকের ট্যাঙ্গনামারি এলাকায়।
অভিযোগ যে, দেড় বছর আগে বিএড কলেজে ভর্তি হয় ২৬ জন প্রশিক্ষণরত হবু শিক্ষক। ভর্তি হবার পরেও তারা বিএডের পরীক্ষা দিতে পারবে কিনা সে নিয়ে তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা। বিএড কলেজে ভর্তি হবার পরেও প্রশিক্ষণরত শিক্ষার্থীদের এখনও পর্যন্ত নাম রেজিস্ট্রেশন হয়নি বিশ্ববিদ্যালয়ে। অথচ ঐ ২৬ জন হবু শিক্ষকের সঙ্গে বিএড কলেজে ভর্তি হওয়া প্রশিক্ষণরত শিক্ষার্থীরা পেয়েছে রেজিস্ট্রেশন, এমনকি তারা প্রথম পরীক্ষাতে উত্তীর্ণ হয়েছে। এদিকে কলেজ কর্তৃপক্ষ রীতিমতো নোটিশ দিয়ে জানায় যে, বুধ ও বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় সেমিস্টারের পরীক্ষাতে বসার জন্য ফরম ফিল আপ চলবে। কিন্তু এই ২৬ জন পরীক্ষার্থীকে জানিয়ে দেওয়া হয় যে, নাম রেজিস্ট্রেশন না হওয়ায় তারা পরীক্ষার ফরম ফিল আপ করতে পারবেন না। কলেজ কর্তৃপক্ষের এমন নির্দেশে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন প্রশিক্ষণরত শিক্ষার্থীরা। তারা কলেজ কার্যালয়ে তালা বন্ধ করে রেখে কলেজ কর্তৃপক্ষের একজনকে ঘেরাও করে রাখেন এবং বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন।
অভিযোগকারী সায়নী মিত্র, মৌসুমী দাস, সায়ন্তনী সাহা, এন্তজুল ব্যাপারী, নুর ইসলাম শেখ প্রমুখ জানায়, এক বছর আগে প্রথম সেমিস্টার হয়ে গেছে। কিন্তু তখন আমাদের রেজিস্ট্রেশন না হওয়ায় পরীক্ষায় বসতে পারিনি। কলেজ থেকে জানানো হয় গত মে মাসে স্পেশালভাবে সেই পরীক্ষা নেওয়া হবে। কিন্তু সেটাও হয়নি। ইতিমধ্যে দ্বিতীয় সেমিস্টারে বসার জন্য ফর্ম ফিলাপের নোটিশ জারি হয়েছে। এরপর আমরা কলেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ফের যোগাযোগ করলে তারা পরিষ্কার জানিয়ে দেয় রেজিস্ট্রেশন না হওয়া পর্যন্ত পরীক্ষার ফর্ম ফিলাপ করা যাবে না। অথচ কারো কারো কাছে অগ্রিম কোর্স ফি নেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে ভর্তি হওয়া বাকি শিক্ষার্থীরা এদিন ফর্ম ফিলাপ করতে আসলে আমরা তা করতে দিইনি। আমাদের দাবি যতক্ষণ না আমাদের রেজিস্ট্রেশন সহ পরীক্ষায় বসার ব্যবস্থা করবে, আমরা ততক্ষণ এই আন্দোলন চালিয়ে যাব। আমাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে কলেজ কর্তৃপক্ষ ছিনিমিনি খেলতে পারেনা। তাই কর্তৃপক্ষ অবিলম্বে কোনো ব্যবস্থা না নিলে আমরা প্রয়োজনে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।এবিষয়ে কলেজের তরফে বিমল চন্দ্র বর্মন জানান, আমরা পশ্চিমবঙ্গ শিক্ষক প্রশিক্ষণ, শিক্ষা পরিকল্পনা ও প্রশাসন বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম মেনে ভর্তি নিয়েছি। কেন তাদের রেজিস্ট্রেশন হয়নি এটা সম্পূর্ণ পশ্চিমবঙ্গ শিক্ষক প্রশিক্ষণ, শিক্ষা পরিকল্পনা ও প্রশাসন বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাপার। বিষয়টি আমরা কয়েকবার সেখানে জানিয়েছি। আবারও জানানো হবে। প্রয়োজনে তাদেরকে কোলকাতায় নিয়ে যাওয়া হবে। আমরাও চাই তাদের এই সমস্যার সমাধান হোক।