পাখির খাচায় ফনা তুলে গোখরো, চাঞ্চল্য ধূপগুড়িতে
সুব্রত রায়,ধূপগুড়ি: ধূপগুড়ি পৌরসভার ১৩ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা বিক্রম চাকির শখটা একটু অন্যরকম। বাড়িতে সবাই দেশি বা বিদেশী কুকুর, বিড়াল পুষলেও বিক্রম বাবু শখ করে বাড়িতে পুষেন বিদেশি পাখি। প্রতিদিন সময় মতো পাখিদের খাবার দেওয়া, জল দেওয়া, স্নান করানো থেকে শুরু করে তাদের সাথেই অবসর সময় কাটান তিনি। প্রতিদিনের মতো বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পাখিদের খাবার দিতে যান তিনি। কিন্তু খাবার দিতে এসে চোখ কপালে উঠে বিক্রম বাবুর। দেখতে পান পাখির খাঁচায় ফনা তুলে রয়েছে বিষধর গোখরো। আর সেই গোখরোর ভয়ে খাঁচার ভিতরে থাকা বিদেশি পাখিগুলো প্রাণ বাঁচাতে রীতিমতো কিচিরমিচির শব্দ করে ছটফট করতে থাকে। বিক্রম বাবু লক্ষ্য করেন পেট ফুলে গেছে গোখরোর। এরপর খাচার পাখি হিসেব করে দেখেন একটি পাখি কম রয়েছে। বুঝে যান একটি পাখি খেয়ে নিয়েছে গোখরো সাপটি। এদিকে পাখির খাঁচায় গোখরো ঢুকেছে শুনে প্রতিবেশিরা ভিড় করেন বিক্রম বাবুর বাড়িতে। এরপর তড়িঘড়ি খবর দেওয়া হয় ধূপগুড়ির পরিবেশপ্রেমী সংগঠনকে। খবর পেয়ে পরিবেশপ্রেমী সংগঠনের সদস্যরা সাপটিকে উদ্ধার করে নিয়ে যান। ধূপগুড়ি থানাপাড়ার বাসিন্দা বিক্রম চাকি জানান, “পাখির খাবার দিতে এসে খাঁচার ভিতর সাপ দেখে চমকে গেছিলাম। কেননা এর আগে এরকম কোনোদিন হয়নি। হয়তো কোন ফাঁকা দিয়েই সাপটি খাঁচায় ঢুকে একটি পাখি খেয়ে নিয়েছে।”এদিকে বর্ষাকাল পেরিয়ে শীত পড়তে শুরু করলেও লোকালয়ে সাপ উদ্ধারের ঘটনায় আতঙ্ক বাড়ছে শহরে। সর্পবিদ মিন্টু চৌধুরী জানান, ” কিছুদিন আগেই ধূপগুড়ি শহর থেকে উদ্ধার করা ৭ টি বিভিন্ন প্রজাতির সাপ বন দপ্তরের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল। এখনো প্রায় প্রতিদিন ধূপগুড়ি সহ চা বাগান এলাকা থেকে অজগর, কিং কোবরা সহ বিভিন্ন প্রজাতির সাপ উদ্ধার করা হচ্ছে। এটা যথেষ্ট উদ্বেগের ব্যাপার। সাপগুলি জঙ্গল ছেড়ে লোকালয়ে চলে আসছে তা বনদপ্তরের দেখা দরকার।”