ডুয়ার্সে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হাতির
সুব্রত রায়, বানারহাট: ফের বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে ডুয়ার্সে হাতির মৃত্যু ডুয়ার্সে ফের বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে হাতির মৃত্যু হলো। শনিবার সকালে ডুয়ার্সের হলদিবাড়ি চা বাগানের ৩ নং লাইনে হাতিটিকে মৃত অবস্থায় দেখতে পান চা শ্রমিকরা। মৃত হাতিটি পূর্ন বয়স্ক স্ত্রী হাতি। এই নিয়ে গত তিনমাসে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে ৭ টি হাতির মৃত্যু হয়েছে। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে চলে আসেন জলপাইগুড়ি অনানারি ওয়াইল্ড লাইফ ওয়ার্ডেন সীমা চৌধুরী, বিন্নাগুড়ি ওয়াইল্ড লাইফ স্কোয়াডের রেঞ্জার শুভাশীষ রায় ও মোরাঘাট রেঞ্জ অফিসার রাজকুমার পাল । সীমা চৌধুরী জানান, ” দেখেই বোঝা যাচ্ছে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়েই মৃত্যু হয়েছে হাতিটির । কেননা বিদ্যুতের তার হাতির ওপরেই ঝুলে রয়েছে।”বিন্নাগুড়ি ওয়াইল্ড লাইফ স্কোয়াডের রেঞ্জার শুভাশীষ রায় জানান,” বাগানের গাফিলতির কারণেই হাতিটির মৃত্যু হয়েছে দেখে বোঝাই যাচ্ছে। কারণ হাতির করিডরে এভাবে বিদ্যুতের তার ঝুলে রয়েছে অথচ বাগানের নজরে পড়ল না।”তবে বাগানের মধ্যে কি করে বিদ্যুতের তার ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছে এবং তা বাগানের নজরে আসল না সে বিষয়ে প্রশ্ন উঠছে। এবিষয়ে বানারহাটের স্টেশন মাস্টার শুভম দুপ্পা জানান, ” বাগানের ভিতরের বৈদ্যুতিক কানেকশন বাগানের নিজস্ব।” এদিকে এভাবে হাতির করিডরে বিদ্যুতের তার ঝুলে থাকা এবং সেই তারে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে হাতি মৃত্যুর কারণে রীতিমতো ক্ষুব্ধ বন দপ্তরের আধিকারিকরা। পরবর্তীতে ঘটনাস্থলে পৌঁছান ডিএফও ( বন্যপ্রাণী বিভাগ) নিশা গোস্বামী, ডিএফও (বনবিভাগ) মৃদুল কুমার সহ বন দপ্তরের আধিকারিকরা।ডিএফও ( বন্যপ্রাণ) নিশা গোস্বামী জানান, ” বিদ্যুতের তার দেখে মনে হচ্ছে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়েই মৃত্যু হয়েছে হাতিটির। বন্যপ্রাণ আইন অনুযায়ী বনদপ্তরের তরফে কেস করা হবে। পরবর্তীতে যাতে আর এধরনের ঘটনা না ঘটে সে বিষয়টি। কাদের গাফিলতির কারণে হাতির মৃত্যু সে বিষয়ে তদন্ত করলে বোঝা যাবে।”