সংস্কারের অভাবে পড়ে আছে ঐতিহ্যবাহী প্রাচীন পেটকাটি মন্দির

বাপ্পা রায়, ময়নাগুড়ি, ১২ ডিসেম্বর : সংস্কারের অভাবে ধুঁকছে ময়নাগুড়ির ঐতিহাসিক পেটকাটি মন্দির। অভিযোগ,‌প্রশাসনের উদাসীনতায় ঠাঁই পাচ্ছে না জলপাইগুড়ি জেলা তথা ময়নাগুড়ির ঐতিহাসিক পেটকাটি মন্দির। এখনও দূর দূরান্ত থেকে এমনকি এ রাজ্য ছাড়াও বাইরের রাজ্য থেকে দর্শনার্থীরা পেট কাটি মন্দিরে আসেন। মায়ের কাছে মনস্কামনা করে যান। কিন্তু প্রশাসনের গুরুত্বের অভাবে, পেটকাটি মন্দিরটির তেমন উন্নয়ন হয়নি। এলাকাবাসীদের দাবি, মন্দীরটিকে গুরুত্ব দিলে হয়ত জল্পেশ, জটিলেশ্বর এর মতো প্রসিদ্ধ স্থান হতে পারত কিন্তু তা হয়ে উঠেনি। জানা গেছে , ময়নাগুড়ি শহর থেকে পেটকাটি গ্রামের দূরত্ব ২ কিলোমিটার। কথিত আছে আজ থেকে পঞ্চাশ বছর আগে স্থানীয় এক চাষি চাষ করতে গিয়ে তার লাঙলের ফলায় মূর্তি তুলে আনেন। এরপর সেই এলাকাতেই মন্দির গড়ে শুরু হয় পুজো। সাড়ে চার ফুট উচু কষ্টি পাথর দিয়ে তৈরি পেটকাটি কালী। এখানে পদ্মের উপর দাড়িয়ে আছেন দেবী। দশভুজা দেবী। তবে খননের সময় তিনটি হাত ভেঙে গেছে তার।বাদিকের পাঁচটি হাতে রয়েছে হাতি,ঘন্টা,ছিন্ন নরমুন্ড,নরমুর্তি ও একহাত ভাঙা রয়েছে।মুর্তির পেট কাটা এবং পেটের মধ্যে রয়েছে বিছের ছবি।গলায় ঝুলছে নরমুন্ডের মালা,সারা শরীর সর্পমালায় শোভিত। যা অন্য কোথাও দেখা যায়নি।দেবীর পেট কাটা বলে এই দেবি পেটকাটি মাও নামে পরিচিত এলাকায়।তবে পেটকাটি আদপে কালী মুর্তি হলেও একে ধূমাবতি চন্ডী কালী দেবী হিসেবেই কালী পুজার সময় পুজা করা হয় বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *