জলপাইগুড়ির কর্মীসভায় দলের নেতাকর্মীদের এক হয়ে চলার বার্তা দিলেন মমতা
সুব্রত রায় ও ধীমান রায়, জলপাইগুড়ি: বিজেপিকে হুঁশিয়ারি দিয়ে উত্তরবঙ্গ সফরের দ্বিতীয় দিনে জলপাইগুড়ির কর্মীসভায় দলীয় নেতা কর্মীদের এক হয়ে চলার বার্তা দিলেন মূখ্যমন্ত্রী। এদিনের জনসভায় বক্তব্য রাখেন জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি কিষাণ কল্যানী, আলিপুরদুয়ার জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি মৃদুল গোস্বামী, বিধায়ক মিতালি রায়, মাল বজারের বিধায়ক বুলু চিক বরাইক, তৃণমূল নেতা বিপ্লব মিত্র, শ্রম ও আইন মন্ত্রী মলয় ঘটক, কামতাপুরী নেতা অতুল রায়। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী অরুপ বিশ্বাস, জলপাইগুড়ি জেলার অবজার্ভার অলোক দে সহ দুই জেলার বিধায়ক ও নেতারা। এদিন ধূপগুড়ির বিধায়ক মিতালি রায় কামতাপুরী-রাজবংশী ভাষায় বক্তব্য রাখেন। মিতালী রায় তার বক্তব্য বলেন,” আজকে আমি আমার ভাষায় গর্বের সাথে বক্তব্য রাখছি। এই সুযোগ মমতা ব্যানার্জি করে দিয়েছেন। রাজবংশী সম্প্রদায়ের গর্ব পঞ্চানন বর্মার জন্মদিনে ছুটি ঘোষণা করেছেন। পঞ্চানন বর্মার নামে বিশ্ববিদ্যালয় হয়েছে। “শ্রম ও আইন মন্ত্রী মলয় ঘটক তার বক্তব্যে চা বাগানে শ্রমিকদের জন্য যে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন সেগুলো তুলে ধরেন। মুখ্যমন্ত্রী বেলা একটা নাগাদ মঞ্চে আসেন। তাঁকে উত্তরের বৃহত্তর জনগোষ্ঠী রাজবংশী সম্প্রদায়ের ঐতিহ্য হলুদ গামছা দিয়ে বরণ করে নেন ধূপগুড়ির বিধায়ক মিতালি রায়। প্রায় পঁয়তাল্লিশ মিনিট বক্তব্য রাখেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ার জেলায় যা যা করা হয়েছে তা তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী। ক্রান্তি ও বানারহাটকে ব্লক , ফালাকাটা ও ময়নাগুড়িকে পৌরসভা করা হবে জানান। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আপনাদের অনেক দিয়েছি। কিন্তু আপনারা লোকসভায় আমাকে জেতাননি। বিধানসভায় কিন্তু জেতাতে হবে।” তিনি কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তোপ দেগে বলেন, “ওরা বলেছিল ক্ষমতায় এসে ওরা সাতটি চা বাগান অধিগ্ৰহন করবে। কিন্তু করেনি।বিধানসভা ভোটের সময় বিজেপি টাকা দিবেও বলে তিনি দাবি করেন। তিনি বলেন, “টাকা দিলে নিয়ে নিবেন, ভোটটা কিন্ত তৃণমূলে দিবেন। “বিজেপিকে তিনি ডাকাত বলেও আক্রমণ করেন। তিনি বলেন,”ওরা ঘৃণ্য ধর্মের রাজনীতি করছে, দাঙ্গা লাগানোর রাজনীতি। বিজেপির প্রতিশ্রুতি মানে প্রতারণা।”তিনি এও বলেন, আঘাত করলে প্রত্যাঘাত করতে আমরাও জানি। কোটি কোটি গুন্ডা এনেও কিছু করতে পারবেন না।