ধূপগুড়ি বাজারে বিধ্বংসী আগুন, কয়েক কোটি টাকার ক্ষতি
সুব্রত রায় ও জগদা রায়, ধূপগুড়ি: ধূপগুড়ি বাজারে বিধ্বংসী আগুন অগ্নিকাণ্ড, পুড়ে গেলো প্রায় ৫০ টি দোকান। কয়েক কোটি টাকার ক্ষতির আশংকা। জানা গেছে বৃহস্পতিবার রাত প্রায় তিনটা নাগাদ দোকানে ঘুমের ঘোরে পোড়া গন্ধ পেয়ে বাইরে আসেন এক ব্যবসায়ী। ততক্ষণে দাউদাউ করে জ্বলতে শুরু করেছে আগুন।
খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে একটি ইঞ্জিন সহ ধূপগুড়ি দমকল বাহিনীর কর্মীরা। কিন্তু জলের সমস্যায় পড়তে হয় তাদের। বাজারের কাছে পিঠে কোন জলাশয় নেই। জল মিলেনি পিএইচই তেও। যারফলে রীতিমতো বিপাকে পড়ে দমকল কর্মীরা। এরপর নদী থেকে জল ভরতে ছুটতে হয় দমকলকে। কিন্তু ততক্ষণে আগুন মারাত্নক আকার ধারণ করেছে। একের পর এক দোকান পুড়ে ছাই হয়ে যাচ্ছে। দোকানদারেরা তাদের শেষ সম্বলটুকু বাঁচানোর আপ্রাণ চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু চোখের সামনেই দোকান পুড়ে ছাই হয়ে যাওয়া দেখতে হয়েছে।
খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন স্থানীয় বিধায়ক মিতালী রায়। এদিকে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনার জন্য দিনহাটা, তুফানগঞ্জ সহ বিভিন্ন জায়গা থেকে ১০ টি ইঞ্জিন নিয়ে আসা হয়। একযোগে দমকলের ইঞ্জিন আগুন নিয়ন্ত্রনে নেওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু ততক্ষণে প্রায় ৫০ টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে যায়। সবমিলিয়ে একশোরও বেশি দোকান পুড়ে যায় বলে ব্যবসায়ীরা জানান। এদিকে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনা এবং দমকলের জল না পাওয়ার ঘটনায় রীতিমতো ক্ষুব্ধ পরিবেশপ্রেমীরা। তাদের অনেকের মতে, জলাশয় অবৈধভাবে ভরাটের ফল পেল ধূপগুড়ির ব্যবসায়ীরা। দমকল থাকলেও জল না থাকায় আগুন নিয়ন্ত্রনে আনতে পারেনি সময় মতো। উল্লেখ্য শহরের একের পর এক জলাশয় অবৈধভাবে ভরাট করা হচ্ছে। কিন্তু নজর নেই প্রশাসনের। ধূপগুড়ি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে ঘটনা স্থল পরিদর্শন করলেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী ররবীন্দ্রনাথ ঘোষ। ঘটনা স্থল পরিদর্শন করে ঘটনাস্থল থেকে নগর উন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে ফোন করলেন এবং গোটা ঘটনা জানিয়ে জেলা পরিষদের অধীনস্থ এই বাজার ধুপগুড়ি পৌরসভা হাতে তুলে দেওয়ার জন্য পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলেন। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ আশ্বাস দিলেন রাজ্য সরকার সব রকম ভাবে ব্যবসায়ীদের পাশে আছে এবং দোকান ঘর বানিয়ে দিবেন তারা, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে তিনি পরিদর্শনে এসেছেন বাজার এমনটাই তিনি জানান।