পুলিশ দাঁড়িয়ে দেখল, দমকল ছুটলো জলের জন্য, ভয়াবহ আগুনে ক্ষতি ব্যবসায়ীদের ক্ষোভ ধূপগুড়ি পুরসভার ওপর
সুব্রত রায়, ধূপগুড়ি: ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ফলে শতাধিক দোকান পুড়ে গেলো। ক্ষতির পরিমাণ আনুমানিক প্রায় ২৫ কোটি টাকা। ধূপগুড়ি থানা রোডের কাপড় পট্টি, চুরি পট্টি, মশলা পট্টির বিপুল ক্ষতি হয়েছে। অগ্নিকান্ডের ফলে নিঃস্ব হয়ে পড়লেন সেখানকার কয়েকশো ছোট বড়ো ব্যবসায়ী। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ সময়ে দমকল বাহিনী এলে এবং জলের ব্যবস্থা থাকলে এতটা ক্ষতি হতো না। ফোসিডের সম্পাদক প্রদীপ পাল জানান,” ক্ষতির পরিমাণ এখনো পর্যন্ত বোঝা না গেলেও প্রায় ২৫ কোটি টাকার ক্ষতি হয়ে গেল মনে হচ্ছে। যতদিন পর্যন্ত ব্যবসা শুরু করা যাচ্ছে না ততদিন ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের মাসিক ২৫ হাজার টাকা করে দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি। সেইসাথে শহরে রিজার্ভারের ব্যবস্থা করার দাবি জানাই। ” শহরের জলাশয়গুলো অবৈধভাবে ভরাট না হলে আগুন তাড়াতাড়ি নিয়ন্ত্রণে আসতো বলে মনে করছেন অনেকে। এবিষয়ে ধূপগুড়ি পৌরসভার বিজেপি কাউন্সিলর কৃষ্ণদেব রায় জানান,” জলাশয়গুলো অবৈধভাবে ভরাটের ফলে ভুগতে হলো ব্যবসায়ীদের। উপযুক্ত দমকল ও জলের ব্যবস্থা থাকলে এতটা ক্ষতি হতো না।”ব্যবসায়ী সুকান্ত বসাক জানান,” সবাই হাত লাগালে কিছুটা রক্ষা হতো। কিন্ত পুলিশ, দমকল সবাই দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখলো। পুলিশ রাস্তায় যান চলাচল নিয়ে ব্যস্ত আর দমকল জল পেল না। আমরা সর্বস্ব হারিয়ে পথে বসে পড়লাম।”সন্ধ্যায় ধূপগুড়িতে আসেন বিজেপির জেলা সভাপতি বাপী গোস্বামী। তিনি তৃণমূল পরিচালিত ধূপগুড়ি পৌরসভার বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরে দেন। তিনি বলেন,” প্রাক্তন উপ পৌরপিতা অরুপ দে জলাশয় ভরাট করে বিল্ডি বানালেন। পিএইচইর নাইট গার্ড তৃণমূল নেতার বাড়ি পাহারা দেয়। তাই পিএইচইতে জল নাই। আর কয়েকমাস তারপর সব ব্যবস্থা হবে। “এদিকে জলাশয়গুলো অবৈধভাবে ভরাটের বিষয়টি উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী মেনে নেন। তিনি বলেন, ” মানুষ জলাশয়ের গুরুত্ব বুঝতে পাচ্ছে না। পৌরসভাকে বলব বুজে যাওয়া জলাশয়গুলো যাতে পুনুরুজ্জীবন পায় সেই ব্যবস্থা করে।”