বেহাল চুল্লি, রাস্তার পাশেই দাহকার্য হাঁসপুকুরে
বিষ্ণুপদ রায়, হলদিবাড়ি : হলদিবাড়ি ব্লকের হেমকুমারী গ্রাম পঞ্চায়েতের বিভিন্ন এলাকায় শব দাহ করার উপযুক্ত পরিকাঠামো নেই। হাঁসপুকুর এলাকায় একটি পাকা চুল্লি থাকলেও সেটি বেহাল হয়ে পড়েছে। এর জেরে বাধ্য হয়ে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার ধারে শবদাহ করতে বাধ্য হচ্ছেন এলাকাবাসী। এর ফলে যেমন ধোঁয়া, ছাই ও পোড়া কাঠ থেকে এলাকায় দূষণ ছড়াচ্ছে, তেমনই দাহকার্য চলাকালীন রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করাও অসম্ভব হয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছেন পথচারীরা। এই পরিস্থিতিতে একটি উন্নত পরিকাঠামোযুক্ত শ্মশান গড়ে তোলার দাবি তুলছেন সকলেই।স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, হাঁসপুকুর এলাকায় এখন ব্যবহারযোগ্য কোনও পাকা চুল্লি নেই। যে কয়েকটি জায়গায় আগে চুল্লি ছিল, সেগুলিও রক্ষণাবেক্ষণ ও সংস্কারের অভাবে ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। ফলে নতুনবস্তী , রিফুজি পাড়া, সিঞ্জারহাট, সহ বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দারা সমস্যায় পড়েছেন। সিঞ্জারহাট- হলদিবাড়ি মতো গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার ধারেই বাঁশ দিয়ে অস্থায়ী ব্যবস্থা করেই চলে শবদাহ। এছাড়াও জলের অভাবে দাহকার্যের পর ছাই, পোড়া কাঠ যেখানে-সেখানে পড়ে থাকে। বর্ষাকালে মৃতের পরিবারের সদস্যদের ভোগান্তি কয়েকগুণ বেড়ে যায়। স্থানীয় বাসিন্দা সুব্রত রায় বলেন, এখান থেকে দু-কিলো দুরে জলদানি এলাকায় একটিও পাকা চুল্লি নেই। সেখানে দাহকার্য করা যায় না। ফলে সিঞ্জারহাট, বামনপাড়া,নতুনবস্তী, রিফুজি পাড়া এলাকায় মানুষ তাই এই হাঁসপুকুরে শবদাহ করতে বাধ্য হন । প্রশাসনের বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা উচিত। স্থানীয় যুবক প্রশ্নকুমার রায় জানান, শবদাহের জন্য শ্মশানে ছাউনি, প্রতীক্ষালয়, আলো ও জলের ব্যবস্থাও থাকা প্রয়োজন। কিন্তু সেরকম কোনও ব্যবস্থাই নেই। অন্ধকারেই শবদাহ করতে হয় অনেককে। বর্ষাকালে সমস্যা বেড়ে যায়। তাই তিনি শবদাহের জন্য সুষ্ঠু পরিকাঠামো গড়ে তোলার দাবি জানিয়েছেন। নিত্যযাত্রী তুলেশচন্দ্র রায় বলেন, রাস্তার ঠিক পাশেই শবদাহ হয়। এমনকি শবদাহের পর এলাকাটি পরিষ্কারও করা হয় না। দ্রুত শবদাহ করার উপযুক্ত পরিকাঠামো গড়ে তোলা হোক। রাস্তার পাশে শবদাহের দৃশ্য ছোটোদের মনে প্রভাব ফেলে বলে তাঁর আশঙ্কা।এ বিষয়ে হেমকুমারী গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান প্রথমি রায় বলেন, সমগ্র বিষয়টি নজরে রয়েছে। করোনা পরিস্থিতিতে জলদানি সংলগ্ন শ্মশানটিকে সংস্কার করে সেটিকে শবদাহ করার জন্য আবেদন করেছি।খুব শিঘ্রই জলদানির শ্মশানের কাজ শুরু হবে।