ধূপগুড়িকে মহকুমা ঘোষণার দাবিপত্র নিয়ে কলকাতা রওনা দিলেন বিধায়ক মিতালী
সুব্রত রায়, জলপাইগুড়ি ঃ- নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা না হলেও, ধূপগুড়িকে মহকুমা করার দাবি নিয়ে রাজনৈতিক উত্তাপ বাড়ছে । ধূপগুড়িকে মহকুমা করার দাবিতে এবার মুখ্যমন্ত্রীর কাছে ধূপগুড়ি মহকুমার নাগরিক মঞ্চের দাবিপত্র নিয়ে কোলকাতার উদ্দ্যেশ্যে রওনা দিলেন বিধায়ক মিতালী রায়। ধূপগুড়িকে মহকুমা করার দাবিতে আন্দোলন ক্রমশ জোরদার হচ্ছে। রবিবার থেকে ধূপগুড়ি মহকুমা নাগরিক মঞ্চের পক্ষ থেকে ধূপগুড়ি জুড়ে মহকুমার দাবিতে পোস্টার, ব্যানার লাগানো শুরু হয়েছে।
পোস্টারে লেখা রয়েছে, ধূপগুড়িকে অবিলম্বে মহকুমা ঘোষণা করতে হবে। ধূপগুড়িকে মহকুমা করার দাবিতে নতুন বছরের শুরুতেই আগামী ৩ রা জানুয়ারি ধূপগুড়ি থেকে চামুর্চি পর্যন্ত বাইক রেলি করা হবে ধূপগুড়ি মহকুমা নাগরিক মঞ্চের পক্ষ থেকে।ধূপগুড়ি মহকুমা নাগরিক মঞ্চের সম্পাদক অনিরুদ্ধ দাশ গুপ্ত বলেন, “ধূপগুড়িকে মহকুমা করার দাবি দীর্ঘদিনের, আমরা বহুদিন থেকেই আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছি। সামনে বিধানসভা নির্বাচন, ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী বানারহাটকে পৃথক ব্লক ঘোষণা করেছেন। আমরা চাই এবার নির্বাচনের আগেই ধূপগুড়ি ব্লককে এবং বানারহাটকে মিলিয়ে মহকুমা করা হোক। আজ আমাদের দাবিপত্র ধূপগুড়ির বিধায়ক মিতালী রায় মূখ্যমন্ত্রীকে তুলে দেবার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন। তাই খুবই আনন্দিত আমরা এবং আশা রাখছি তার হাত দিয়েই ধূপগুড়ি মহকুমা স্বীকৃতি লাভ করবে।”উল্লেখ্য প্রায় ১০ বছর ধরে রাজ্যের অন্যতম বৃহত্তম ব্লক ধূপগুড়িকে মহকুমা ঘোষণার দাবি উঠছে। এমনকি ২০১২ সালে তৎকালীন ধূপগুড়ির বিধায়ক মমতা রায় বিধানসভায় মহকুমার প্রস্তাবটি উত্থাপন করেন। কিন্তু তারপরেও ধূপগুড়ি মহকুমা হয়নি। এদিকে ইতিমধ্যেই ধূপগুড়ি ব্লককে ভেঙ্গে বানারহাট ব্লক গঠনের তোড়জোড় শুরু হওয়ার ফলে মহকুমা গঠনের দাবি আরও জোরালো হয়েছে।ধূপগুড়ি ব্লকের এক প্রান্তে রয়েছে চামুর্চী ভুটান সীমান্ত, সেখান থেকে জলপাইগুড়ি শহরের দূরত্ব কম করে ৯০ কিলোমিটার এবং সেই এলাকার মানুষকে এস ডি ও অফিসে কোনো জরুরি কাজের জন্য যেতে হলে ৯০ কিলোমিটার পথ পেরিয়ে যেতে হয়। আর এতে সময় যেমন বেশি লাগে তেমনি টাকার অপচয় হয়, হয়রানির শিকার হতে হয় সাধারণ মানুষকে। তাই ধূপগুড়িবাসীর দাবি ধূপগুড়ি ব্লককে মহকুমা করা হোক । ইতিমধ্যেই বিরোধী দল বিজেপি কেন্দ্রীয় নেতা থেকে রাজ্য নেতাদের হাতে মহকুমার দাবিপত্র তুলে দিয়েছে। এবং বিজেপি নির্বাচনে জিতলে ধূপগুড়িকে মহকুমা করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রচার শুরু করেছে। ধূপগুড়ির শিক্ষক অনুপম দত্ত বলেন, “ধুপগুড়ি মহাকুমা হওয়া একান্ত প্রয়োজন। আপামর সাধারণ মানুষ চাইছে ধুপগুড়িকে মহকুমা ঘোষণা করুন মূখ্যমন্ত্রী । ধূপগুড়ি ব্লক রাজ্যের মধ্যে সবথেকে বড় ব্লক । ধূপগুড়ি ব্লকের শেষ প্রান্তে চামুর্চি এলাকা থেকে জলপাইগুড়ি শহরের দূরত্ব কম করে ৯০ কিলোমিটার । তাছাড়া এখানকার স্বাস্থ্যব্যবস্থার খুব খারাপ অবস্থা,মহকুমা হলে এখানকার স্বাস্থ্যব্যবস্থার হাল ফিরবে। ” তৃণমূল বিধায়ক মিতালী রায় বলেন, “মহাকুমা নাগরিক মঞ্চ দাবিপত্র দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রীকে দেওয়ার জন্য। ধুপগুড়িকে মহকুমা করার দাবি জানিয়েছেন তারা। এই দাবি ন্যায়সঙ্গত এবং যুক্তিযুক্ত বলেই আমি মনে করি। আমিও চাই ধূপগুড়ি মহকুমা হোক, মহকুমা নাগরিক মঞ্চের এই দাবিপত্র মুখ্যমন্ত্রীর হাতে তুলে দিব। তাই আজ কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা দিচ্ছি। “