সকাল সকাল খেলার মাঠে ধূপগুড়ির বিধায়ক, ঘুরলেন বাজারেও
সুব্রত রায়, ধূপগুড়ি: বিজেপির চায়ে পে চর্চার পাল্টা হিসাবে এবার সাতসকালে খেলার মাঠে জনসংযোগে তৃণমূল বিধায়ক । দুয়ারে সরকারের পাশাপাশি এবার দুয়ারে বিধায়ক বলেও দাবি বিধায়ক অনুগামীদের। রবিবার সাতসকালে ধূপগুড়ি বাজারে শাকসবজির দাম যাচাইয়ের পাশাপাশি সকালে শরীরচর্চা করতে মাঠে আসা সকলের সাথে কথা বলেন বিধায়ক। এদিকে এদিন সকালে বিধায়ককে মাঠে পেয়ে পৌরসভার বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন খেলোয়াড়রা। প্রতিদিনের মতো রবিবারও ধূপগুড়ি পৌর ফুটবল ময়দানে অনুশীলন করছিলেন খেলোয়াড়রা। সেসময় হঠাৎ মাঠে আসেন স্থানীয় বিধায়ক মিতালি রায়। আর বিধায়ককে কাছে পেয়েই খেলোয়াড়রা তাদের সমস্যার কথা জানালেন। খেলোয়াড়দের দাবি মাঠে ড্রেস চেঞ্জ করার ঘর নেই, পানীয় জলের ব্যবস্থা নেই, প্রস্রাবাগার ও স্নানঘরের ব্যবস্থা নেই। যারফলে নিতান্তই সমস্যায় পড়তে হচ্ছে তাদের। সেইসব সমস্যার যাতে দ্রুত সমাধান করা হয় তার দাবিও জানান তারা। রাজনৈতিক মহলের মতে বিজেপির চায়ে পে চর্চার পাল্টা হিসাবে সকাল থেকে মাঠে ঘাটে জনসংযোগ নেমে পড়েছেন বিধায়ক। এবিষয়ে বিধায়ক মিতালি রায় জানান,” মাঠের সমস্যার কথা খেলোয়াড়রা জানিয়েছিলেন। তাই সকালে এদিকে মাঠে ঢুকে পড়লাম। ড্রেস চেঞ্জের রুম থেকে টয়লেট বাথরুমের সমস্যার কথা তারা জানালো। সেগুলোর সমাধানের চেষ্টা করব।” হঠাৎ সকালে মাঠে আসা ও জনসংযোগের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে বিধায়ক জানান,” আমি প্রতিদিন বিভিন্ন এলাকায় সকালে হাঁটি। তবে আজকে মাঠে আসলাম। এটাকে জনসংযোগ বলা যেতেই পারে।” বিধায়ক আরো জানান তিনি এখন নিয়মিত মাঠে আসবেন এবং মাঠে শরীরচর্চা করবেন। একথা শুনে হাততালি দেন মাঠে উপস্থিত খেলোয়াড়রা । এখন খেলোয়াড়দের আশা মাঠে আসলে তাদের সমস্যা বুঝবেন বিধায়ক। ফলে হয়তো তাদের সমস্যার সমাধান হবে। এদিকে এদিন মাঠ থেকে বেরিয়ে বিধায়ক ধূপগুড়ি বাজারের ব্যবসায়ীদের সঙ্গেও কথা বলেন। সেইসাথে সবজি বাজারে গিয়ে বিভিন্ন শাক সবজির দাম কিরকম রয়েছে তাও পরখ করে নেন।