শিক্ষা দপ্তরের অনুমতি নেই, ছাত্রছাত্রীদের ডেকে পরীক্ষা নিল মালবাজারের স্কুল
নিজস্ব সংবাদদাতা, মালবাজার: কোন প্রকার সরকারি শিক্ষা দপ্তরের নির্দেশিকা ও অনুমতি ছাড়াই স্কুলে পরীক্ষা নিয়ে প্রশ্ন ও সমালোচনার মুখে পড়লো মালবাজার শহরের এক বেসরকারি স্কুল। মালবাজার শহরের ৭ নম্বর পানোয়ার বস্তি এলাকায় রয়েছে সেন্ট তেরেসা নামের এক বেসরকারি স্কুল। অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত পড়াশোনা চলে। সোমবার সকালে হঠাৎ করে শহরে রটে যায় ওই স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের কোন প্রকার ইউনিফর্ম ছারাই স্কুলে ডেকে নিয়ে এসে পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে। এতেই চাঞ্চল্য ছড়ায় অবিভাবক মহলে। সতীশ সোনার নামের এক অবিভাবক বলেন, আমি স্কুলে এসেছিলাম স্কুল কর্তৃপক্ষকে এই মর্মে জানাতে যে আমার বাড়ির দুই পড়ুয়া যারা এই স্কুলে পড়ে তাদের স্কুলে পরীক্ষার জন্য পাঠাতে পারব না। কোন প্রকার সরকারি অনুমতি ছাড়াই এই স্কুল কর্তৃপক্ষ স্কুলে পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়ে অবিভাবকদের জানিয়েছে। আমি স্কুল কর্তৃপক্ষের এই নির্দেশিকা মানতে পারছি না। আমরা বাড়িতে এখনো স্বাস্থ্যবিধি মেনেই চলি। এই স্কুল কর্তৃপক্ষ ছাত্রছাত্রীদের স্কুলে পরীক্ষা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। আমি এটা মানতে পারছি না। তাই লিখিত আকারে স্কুল কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি যে আমার বাড়ি পড়ুয়াদের যতদিন সরকারি ভাবে নির্দেশিকা জারি না হচ্ছে ততদিন স্কুলে পাঠাবো না। স্কুলে গিয়ে দেখা গেল স্কুলে সামনে কিছু ছাত্রছাত্রীদের জটলা। স্কুলের ভিতরে কয়েক জন পড়ুয়া পরীক্ষা দিচ্ছে। স্কুলের অধ্যক্ষ অনুপ প্রসাদকে এই নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, গত ৯ মাস ধরে স্কুল বন্ধ রয়েছে। আমরা অনলাইনের মাধ্যমে পঠনপাঠন চালাচ্ছিলাম। সম্প্রতি কিছু অবিভাবক অভিযোগ করে জানান যে,পড়ুয়ারা পঠনপাঠনের চাইতে মোবাইলে গেম খেলতে বেশি ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। এতে পড়ুয়াদের সমস্যা হচ্ছিল। পরীক্ষার ফলাফল খারাপ হচ্ছিল। তাই আমরা মাল পৌরসভাকে জানিয়ে ৬০ নম্বরের প্রজেক্ট ও ৪০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষার ব্যবস্থা নেই। সেইমতো আজ পরীক্ষা নেওয়া শুরু হয়। তবে সব ছাত্রছাত্রী আসেনি। কিছু পড়ুয়া এসেছিল। তাদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্কুল স্যানেটাইজড করে পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে।তাছাড়া কিছু ছেলেমেয়ে নিউ এডমিশনের জন্য এসেছিল। বিনা ইউনিফর্ম সম্পর্কে অধ্যক্ষ বলেন, পড়ুয়াদের পোশাক আনফিট হয়ে গেছে তাই বিনা ইউনিফর্মে এসেছে। এনিয়ে মাল পৌরসভা সুত্রে জানাগেছে, পৌর সভা স্কুলে পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়ে কাউকে কোন অনুমতি দেয় নি। এটা শিক্ষা বিভাগের বিষয় পৌরসভার নয়। কেউ যদি স্কুলে পরীক্ষা নিয়ে থাকে সেটা তাদের বিষয়। করোনা আবহে এভাবে স্কুলে ডেকে পরীক্ষা নেওয়ার জন্য স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছে বেশ কিছু অবিভাবক ও স্থানীয় লোকজন।