বাদ্য বাজিয়ে রাজবংশী রীতি মেনে বট পাকুড়ের বিয়েতে ভুরিভোজ
রামপ্রসাদ মোদক, বেলাকোবা: সময়ের সাথে সাথে সামাজিক পরিবর্তন ঘটলেও এখনো কিন্তু রাজবংশী সমাজের অনেক স্থানে গাছের বিয়ে দেওয়ার রীতি প্রচলিত রয়েছে। এরকম একটি অভিনব বিয়ের আয়োজন করা হয়েছিল রাজগঞ্জের সন্ন্যসীপাড়ার ভক্তিডাঙ্গির মাঠে। ছেলে-মেয়ের যেভাবে বিয়ে হয় ঠিক সেভাবেই সামাজিক রীতি নিয়ম মেনে হল বট পাকুড় এর বিয়ে । বাজছে ব্যান্ড পার্টির বাজনা, কনেপক্ষ দিচ্ছে খাট সহ অন্যান্য সামগ্রী। বিয়ে দেখতে সেজেগুজে হাজির শতাধিক গ্রামবাসীও। অন্যদিকে রয়েছে ভুরিভোজের এলাহি ব্যবস্থা। মাছ মাংস চাটনি, পাপড় ভাজা, মিষ্টি সবই ছিল মেনুতে।তবে পাত্রী এবং পাত্রকে দেখে একটু চমকে যেতে হবে,কারণ এটা কোনও মানব মানবীর বিয়ে নয়। রীতি মেনে হয়েছে বট গাছ এবং পাকুড় গাছের বিয়ে। শতাধিক মানুষের আনন্দ বিয়ে বাড়ি মুখরিত হয়ে উঠে। বর এবং কনের অভিভাবক যথাক্রমে অন্নদেব রায় এবং বিশ্বজিত রায়।বর এবং কনের অভিভাবক অন্নদেব রায় এবং বিশ্বজিৎ রায় বলেন, প্রকৃতি হল মানুষের আশ্রয় স্থল। গাছ না থাকলে প্রাণী থাকবেনা। তাই মানুষ আদিকাল থেকে গাছের পুজো করে আসছে। কিন্তু আধুনিক যুগে মানুষ অরণ্য ধ্বংস করে চলেছে কারনে অকারনে।গাছেদের প্রাণ রয়েছে একথা প্রমান করে গেছেন বিজ্ঞানী জগদীশচন্দ্র বোস। অরণ্য ধ্বংস করা যে কত বড় ক্ষতি সেটা আজকের দিনের আধুনিক মানুষকে বোঝাতে তারা আধুনিক পদ্ধতিতে বট এবং পাকুড় গাছের বিয়ে দিয়ে সেই বার্তাই দিতে চাইছেন।