ধূপগুড়িতে মর্মান্তিক সড়ক দূর্ঘটনা, ঘটনাস্থলে প্রশাসনিক কর্তারা
সুব্রত রায়, ধূপগুড়ি: ধূপগুড়িতে মর্মান্তিক দূর্ঘটনায় মৃত্যু হলো ১৩ জনের। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার রাত নয়টা নাগাদ জলঢাকার লালস্কুল সংলগ্ন এলাকায়।জানা গেছে একটি পাথর বোঝাই ডাম্পার আলিপুরদুয়ার থেকে ময়নাগুড়ির দিকে সঠিক পথেই যাচ্ছিল। সেই সময় উল্টো দিক থেকে একটি টাটা ম্যাজিক, একটি মারুতি ও একটি কার ভুল পথে আসতেছিল। রাত প্রায় নয়টা নাগাদ জলঢাকার লালস্কুল সংলগ্ন এলাকায় ডাম্পারটির সঙ্গে উল্টো দিক থেকে আসা প্রথমের গাড়িটির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। যারফলে ডাম্পারটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ডিভাইডারে উঠে যায়। ফলে ডাম্পারে থাকা পাথর পরের ছোট গাড়িদুটির ওপরে পড়ে যায়। বিকট আওয়াজ পেয়ে স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে এসে পাথর সড়িয়ে উদ্বারকার্যে হাত লাগায়। খবর পাওয়া মাত্রই ধূপগুড়ি থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায়। ধূপগুড়ি দমকল বাহিনীর কর্মীরা সহ ক্রেন, জেসিবি দিয়ে উদ্ধারকার্য চলতে থাকে। কয়েক ঘন্টার চেষ্টায় পাথরে চাপা পড়ে যাওয়া ছোট গাড়িগুলো থেকে একে একে ২৪ জনকে বের করে আনা হয়। এরমধ্যে ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। মৃতদের মধ্যে ৪ জন শিশু, ৭ জন মহিলা ও ২ জন পুরুষ বলে জানা গেছে। তবে গভীর রাত পর্যন্ত মৃতদের পরিচয় পাওয়া যায়নি। পুলিশ মৃতের বাড়ির সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করছে। আহতদের জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যেও বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।এদিকে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, তিনটি ছোট গাড়িতে থাকা প্রত্যেকেই জলঢাকার ময়নাতলি এলাকায় বৌভাত খেতে আসতেছিলেন এবং তারা ময়নাগুড়ির চূড়াভান্ডার এলাকার বাসিন্দা। ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে ময়নাগুড়িতে।এদিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধারকার্যে তদারকি করেন ধূপগুড়ির বিধায়ক মিতালি রায়। পরবর্তীতে ঘটনাস্থলে আসেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গ্ৰামীণ), ডিএসপি ক্রাইম, ময়নাগুড়ি থানার পুলিশ সহ বিরাট পুলিশ বাহিনী।পাথরের নীচে চাপা পড়ে যাওয়ার ফলে দুমড়ে মুচড়ে গিয়েছে ছোট তিনটি গাড়িই। রীতিমতো চ্যাপ্টা হয়ে গেছে মারুতি গাড়িটি। বুধবার সকালেও দূর্ঘটনাস্থলে ভিড় জমান স্থানীয় বাসিন্দারা। কুয়াশা এবং ভুল পথে চলার জন্যই এই দূর্ঘটনা বলে মনে করা হচ্ছে। বুধবার সকালে ঘটনাস্থলে আসেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ ও আলিপুরদুয়ারের বিধায়ক সৌরভ চক্রবর্তী।