ধূপগুড়িতে বালি, পাথর পাচারের বিরুদ্ধে অভিযানের পূর্বেই মাফিয়াদের কাছে পৌঁছে গেল বার্তা, নাগালের বাইরে বালি মাফিয়ারা
নিজস্ব সংবাদদাতা,ধূপগুড়ি: ধূপগুড়িতে মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনার পর বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ওভারলোডিং গাড়ি ও বেআইনিভাবে বালি পাথর পাচারের বিরুদ্ধে অভিযানে নামল ধূপগুড়ির ভূমি ও ভূমি রাজস্ব আধিকারিকরা। ধূপগুড়ি শহরের পাশাপাশি গয়েরকাটা এলাকায় জাতীয় সড়ক এবং এশিয়ান হাইওয়ে ৪৮ এ অভিযান চালান তারা। আটক করা হয় কিছু ওভারলোডিং পাথর বালি বোঝাই ডাম্পার ও লরি । তবে অভিযানের খবর জানাজানি হতেই গাড়িগুলো রাস্তার সুনসান জায়গায় দাঁড়িয়ে পরে এবং দেখতে পাওয়া যায় জাতীয় সড়ক এবং এশিয়ান হাইওয়ে ৪৮ রাস্তার পাশে বিভিন্ন ধাবায় পাথর, বালি বোঝাই ওভারলোডিং ডাম্পার দাঁড়িয়ে রয়েছে। গাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছে চালকরা। অনুমান করা হচ্ছে অন্ধকার নামলে রাতের বেলা এই গাড়িগুলো ফের রাস্তা দিয়ে গন্তব্যস্থলের উদ্দেশ্যে বেড়িয়ে পরবে। এদিকে অভিযানের সময় একটি ডাম্পারের চালক তার ম্যানেজারকে ফোন করেন এবং জানতে চান কেন মান্থলি দেওয়ার পরেও কেন গাড়ি আটকানো হচ্ছে। ফোনে কথা বলার পর চালক শম্ভু রায় জানালেন,”আমাদের মান্থলি দেওয়া আছে। বানারহাট, ধূপগুড়ি, ময়নাগুড়ি, জলপাইগুড়ি সব থানায় মান্থলি দেওয়া আছে। তারপরও কেন গাড়িগুলো আটকানো হচ্ছে তা জানতে চেয়ে ম্যানেজারকে ফোন করলাম। কতমাসের মান্থলি দেওয়া আছে যা মালিক আর ম্যানেজার জানেন।”এদিকে অভিযানের আগেই একটি অভিযান হতে চলেছে এরকম একটি অডিও ছড়িয়ে পরে। যে অডিওতে বালি পাথর পাচার কারি ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে আগাম সতর্ক করে জানানো হচ্ছে, যে ভূমি সংস্কার দপ্তর, পুলিশ ও এম ভি আই অভিযানে নামবে। তাই যাতে রাস্তায় ডাম্পার না নামানো হয়। আর এই অডিও টেপ ঘিরেই তৈরি হয়েছে বিতর্ক। আধিকারিকদের মধ্যেও চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এই অডিও টেপ নিয়ে।ধূপগুড়ির ভূমি ও ভূমি রাজস্ব আধিকারিক প্রসেনজিৎ ভট্টাচার্য জানান,” আজকে একটা ছোট্ট অভিযান চালানো হলো। তবে অভিযান আরও বাড়ানো হবে। একটা ওভারলোডিং গাড়ি পেলাম। পরে আরো কয়েকটি ওভারলোডিং গাড়ি পেলাম।” অডিও টেপের মাধ্যমে বালি পাচারকারীরা আগাম খবর পাওয়ার বিষয়ে তিনি জানান,” অভিযানের আগেই খবর পাওয়ার বিষয়টি যথেষ্ট চিন্তার বিষয়। অডিও টেপ টা আমরাও পেয়েছি। তাই হয়তো রাস্তায় অভিযানে নামার পর দেখা যায় দুই একটি গাড়ি ধরার পর রাস্তায় আর গাড়ি আসেনা ।”এদিকে থানায় মান্থলি দেওয়া এবং অভিযানের আগেই পাচারকারীদের কাছে খবর পৌছে যাওয়া নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। তবে কি শর্সের মধ্যেই লুকিয়ে রয়েছে ভূত। তা নাহলে কি করে অভিযানের আগেই পাচারকারীদের কাছে খবর পৌছে যাচ্ছে।