সেতু ভেঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছন্ন হওয়ার শঙ্কা হেমকুমারীর কয়েক হাজার বাসিন্দাদের

বিষ্ণুপদ রায়, হলদিবাড়ি: দীর্ঘদিন ধরে বেহাল এলাকার একমাত্র যোগাযোগের সেতুটি।বৃষ্টি সময় তাঁদের জীবন ঝুঁকি নিয়ে এই সেতুটি দিয়ে চলাচল করে হেমকুমারী গ্ৰাম পঞ্চায়েতের ৫০টি গ্ৰামের মানুষ। প্রশাসনিক নজরদারির অভাবে হুদুমডাঙ্গার সংলগ্ন গিড়িয়া নদীর উপর সেতুটি ভেঙ্গে পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। স্থানীয় জনৈক অশোক রায় ও হেমন্ত কুমার রায় জানান, হেমকুমারী – হলদিবাড়ি সংযোগকারী রাস্তায় হুদুমডাঙ্গা চৈতুর মোড় সংলগ্ন গিড়িয়া নদীর উপর সেতুটি অন্তত ২০ বছর আগে তৈরি করা হয়েছে।কোনোদিন সেতুটি সারাই করা হয়নি।সংস্কারের অভাবে সেতুর অধিকাংশ লোহার খুঁটিতে মরিচা ধরেছে।ফুটো হয়েছে খুঁটিগুলির জলের নীচের অংশ।সেতুর উপরে গর্ত তৈরি হয়েছে।রেলিং গুলো ভেঙ্গে গিয়েছে।মাঝেমধ্যেই দুর্ঘটনা ঘটছে।যে কোনও মূহুর্তে ভেঙ্গে পড়তে পারে সেতুটি।জীবন ঝুঁকি নিয়ে ওই সেতুর উপর দিয়ে মানুষের পাশাপাশি চলাচল করে ছোট যানবাহনও।সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে জনসংখ্যা ।স্বাভাবিক ভাবেই চাপ বাড়ছে সেতুটির উপর।তবুও সেতুটি সংস্কারের ক্ষেত্রে প্রশাসনের হেলদোল না থাকার কারণে ক্ষোভ বাড়ছে স্থানীয়দের মধ্যে।হলদিবাড়ি বাজারে সপ্তাহে দুই দিন হাট বসে।হাটে প্রচুর মানুষ যায়।কৃষিপণ‍্য বিক্রি করতে যান চাষিরা।এছাড়াও বিডিও অফিস, থানা, স্কুল,কলেজ,হলদিবাড়ি রুরাল হাসপাতাল যাওয়ার জন্য এই সেতুর উপর নির্ভরশীল হেমকুমারী গ্ৰাম পঞ্চায়েতের মানুষ সহ দেওয়ানগঞ্জ গ্ৰাম পঞ্চায়েতের কিছু সংখ্যক মানুষ।অন‍্যদিকে সময় বাঁচানোর স্বার্থে ঘুরপথে না গিয়ে এই পথই ব‍্যবহার করায় প্রতিনিয়ত চাপ বাড়ছে জীর্ণ ও বেহাল সেতুটির উপর।তাই অবিলম্বে সেতুটির গুরুত্ব অনুধাবন করে দুর্ঘটনা এড়ানোর জন্য সংস্কারের দাবি উঠেছে স্থানীয় বিভিন্ন মহল থেকে।এলাকার সুব্রত রায়,বঙ্কিম রায় ও তুলেশচন্দ্র রায় বলেন,নদী পারাপার আমাদের একমাত্র ভরসা এই সেতুটি।সেতুটির খুঁটি মরিচা ধরে ক্ষয়ে যাওয়ায় যে কোনও দিন ভেঙ্গে পড়তে পারে।দ্রুত সেতুটির মেরামত করা দরকার।এ প্রসঙ্গে জেলা পরিষদের খাদ‍্য কর্মাধ‍্যক্ষ গোপাল রায় বলেন,সেতুটি সংস্কারের জন্য কোচবিহার জেলা পরিষদের সংশ্লিষ্ট বিভাগে জানিয়েছি ।আশা করছি দ্রুত সেতুটি সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *